মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের সর্বোচ্চ নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গণভবন হতে ভিডিও কনফারেন্সিং’র মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন নাই পাবনার সুজানগরের ৮জন ইউপি চেয়ারম্যান ও ১জন ভাইস চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে তারা অনুপস্থিত থাকেন। এর আগে তারা উপজেলা পরিষদের একাধিক অনুষ্ঠান বর্জন করেন বলে উপজেলা প্রশাসন জানায়। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা- নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলীর সাথে বিরোধের জের ধরে তারা উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন নাই বলে জানা যায়। অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত চেয়ারম্যানরা হলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান কল্লোল, দুলাই ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান, তাঁতীবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতীন মৃধা, আহম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, রানীনগর ইউপি চেয়ারম্যান জিএম তৌফিকুল আলম পিযূষ, সাগরকান্দী ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী, মানিকহাট ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম ও ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ওই ৯জন চেয়ারম্যানই আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা হওয়ায় আওয়ামী লীগের সচেতন মহলে এই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত দলীয় মনোনয়ন পেয়েই ওই ৮জন ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সেহেতু প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে তারা অংশ নেবেন না এটা হতে পারেনা বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন। আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই বলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে দ্বন্দ্ব-বিরোধের কারণে উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাসহ অন্য যেকোন অনুষ্ঠান বর্জন করা যায়। এমনকি অনুপস্থিতও থাকা যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকা যায়না। এটা অত্যন্ত দুঃখজন ঘটনা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন প্রধানমন্ত্রী হলেন দেশের সর্বোচ্চ নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী। আর ইউপি চেয়ারম্যানরা হলেন সরাসরি স্থানীয় সরকারের তৃণমূল প্রতিনিধি। কাজেই সরকার প্রধানের অনুষ্ঠানে বিশেষ কোন সমস্যা ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিত থাকার কোন সুযোগ নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলী বলেন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ২জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১০জন ইউপি চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণপত্র দেওয়ার পাশাপাশি মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু এর পরও ওই ৮জন ইউপি চেয়ারম্যান এবং ১জন ভাইস চেয়ারম্যান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন নাই। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজন এবং ওদ্ধত্যপূর্ণ। এ ব্যাপারে রানীনগর ইউপি চেয়ারম্যান জিএম তৌফিকুল আলম পিযূষের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে ফোন রেখে দেন।