সড়ক উন্নয়ন কাজের নামে তিন মাস রাস্তা খুড়ে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ফলে প্রায় পৌনে তিন কিঃ মিঃ রাস্তা হাঁটু সমান কাঁদা পানির মাড়িয়ে প্রতি নিয়ত চলাচল করতে হচ্ছে পাঁচটি গ্রামের মানুষের। এ অবস্থার কারণে ওই এলাকার মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে শত গুন। রাস্তাটি হচ্ছে কোটচাঁদপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রাম থেকে সাবদালপুর পিচ রাস্তা পর্যন্ত।
জানা গেছে- ২ কোটি ৫লাখ ৬৪হাজার টাকার এ কাজটি পান কুষ্টিয়ার সৈকত এণ্টার প্রাইজ নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত রোজার প্রথম দিকে রাস্তার হেরিং-এর ইট তুলে পৌনে তিন কিঃ মিঃ রাস্তা খুড়ে রাখা হয়েছে। সে থেকে এ পর্যন্ত রাস্তাটি সে ভাবেই পড়ে আছে। ফলে এই বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে পানি জমে কাঁদা পানিতে খালে পরিণত হয়েছে। কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিনিয়ত সেই কাঁদা পানি মাড়িয়ে যাচ্ছে স্কুল মাদ্রাসায়। অনেকে পড়ে যেয়ে কাঁদা পানিতে বই খাতা জামা কাপড় নষ্ট করে বাড়ী ফিরছে। জীবিকার টানে এলাকাবাসী একমাত্র ওই রাস্তাটি দিয়েই চলাচল করছে বহু কষ্ট করে।
সাবদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, রাস্তাটি খুঁড়ে রাখায় মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায় পৌঁচেছে। তিনি বলেন- আমি ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি পাইনি।
রাজাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য বলেন, মানুষের চলাচলের ভোগান্তি তো আছেই সেই সাথে মাঠের ফসল ও সব্জির গাড়ি নিয়ে বাজারে যাওয়া এলাকার কৃষকদের জন্য দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন- ১কিঃ মিঃ রাস্তা ঈদের আগে বালু খোয়া দেয়া হয়েছে। এ সপ্তার মধ্যে রাস্তার কাজটি আবার শুরু না করলে আমি ইঞ্জিনিয়ারের কাছে অভিযোগ করবো।
এবিষয়টি নিয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার রুহুল ইসলামের সাথে কথা বললে, তিনি এ “এফএনএস”কে বলেন- কাজটি শেষ করার জন্য আমি ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেন- স্থানীয় ভাবে এখানে বালু মাটির সংকট থাকায় তারা কাজটি করতে পারছেনা। তবে দ্রুতই ঠিকাদার কাজটি শেষ করবেন বলে তিনি জানান।