ঝিনাইদহের শৈলকুপার দিগনগর ইউনিয়নের বেনীপুর বাজার থেকে সিংনগর গ্রামের প্রধান রাস্তাটি ২১ বছরেও সংস্কার হয়নি যার ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বেণীপুর বাজার থেকে সিংনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। রাস্তাটি ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের আমলে ইটের সলিং করা হয় এরপর অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও কোন সংস্কার হয়নি। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থানা সদর সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেয়ে থাকে। সেইসাথে রাস্তাটি সরাসরি চড়িয়ারবিল নামক স্থানে বিশ্বরোডে সংযুক্ত হওয়ায় রাস্তাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে রাস্তার বেশির ভাগ স্থানেই ইট না থাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে যানবাহন চলাচল ও পথচারীরা চরম দূর্ভোগে পড়েছে এছাড়াও বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটির বেশ কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে যেয়ে প্রায়ই দুঘর্টনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শেখপাড়া ডিএম কলেজ, বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মির্জাপুর আমেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাঁচেরকোল কলেজ, বেণীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মরিয়ম নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এলাকার শতশত শিক্ষার্থীর যাওয়া সহ হাটবাজারে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন রাস্তাটি বারবার সংস্কারের জন্য দাবি তোলা হলেও এ পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেননি। যদিও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণএ রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এব্যপারে সিংনগর গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, রাস্তাটি ২১ বছরেও সংস্কার হয়নি ফলে তৈরি হয়েছে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত। রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে অতিদ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন। সংস্কারের অভাবে এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে চাই না তাই জনদূর্ভোগ চরমে উঠেছে।ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ুয়া সিংনগর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রাস্তা সংস্কারের অভাবে চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের। প্রতিদিন বিশ^বিদ্যালয়ে যেতে হয় এই রাস্তা দিয়ে।বিশেষ করে বর্ষাকালে আমাদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।দিগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান তপন বলেন, আমার ইউনিয়নের মধ্যে এই রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। আমি এই রাস্তার ব্যাপারে এমপি মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি, আশা করি আগামী বাজেটে এই রাস্তাটির কাজ শুরু হতে পারে।
শৈলকুপা এলজিইডি এর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমি বর্তমান অসুস্থু আছি। এই রাস্তাটি কি অবস্থায় আছে আমি বলতে পারছি না।