ভোলার দৌলতখানের সাবেক নেয়ামতপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ভূইয়া বাড়ির লে. কর্নেল (অব:) সামসুদ্দিন আহমেদ মানিক মিয়া আর নেই। শুক্রবার ভোর রাত ৪ টার দিকে তিনি বাধর্ক্য জনিত কারণে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে ইনতেকাল করেন।ইন্যালিল্লাহি....... রাজীউন। বিশিষ্ট সমাজসেবী সামসুদ্দিন মানিক মিয়া বহু স্কুল, মাদরাসা ও ভোলা ভেলুমিয়া মানিক মিয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা, সাবেক ডিজিএফআইয়ের পরিচালক ও মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্সের সাবেক পরিচালক, ভোলা প্রতিবন্ধী স্কুলের (বিসিএসবি) এর ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা কোষাধ্যক্ষ, ঢাকাস্থ ভোলা সমিতির উপদেষ্টা, ভোলা ডায়াবেটিক সমিতির উপদেষ্টা ছিলেন। আলহাজ¦ শামসুদ্দিন আহমেদ মানিক মিয়া জীবদ্দশায় বিভিন্ন সমাজ সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান ও ভোলার উন্নয়নমূলক কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। শুক্রবার জুমায়া নামাজের পর ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএস মসজিদে তার ১ম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টায় ভোলা যোগীরঘোল ঈদগাহ মাঠে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
সংক্ষিপ্ত বর্ণাঢ্য জীবন বৃত্তান্ত:
লে. কর্নেল মো. সামসুদ্দিন আহমেদ (অব.) ১৯৪৫ সালে ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদানের পূর্বে কিছুদিনের জন্য দৌলতখান সুকদেব মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয় ও ভোলা কলেজে শিক্ষকতা করেন।
লে. কর্নেল মো. সামসুদ্দিন আহমেদ (অব.) ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইজ্ঞিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন।
বর্নাঢ্য সামরিক চাকরি শেষে ১৯৯৬ সালে সেনাবাহিনী থেকে স্বসম্মানে অবসর গ্রহন করেন। দৌলতখানের মেঘনার ভাঙনে নদী সিকস্তির পর তিনি তার এলাকা ভোলার ভেলুমিয়ায় মসজিদ, স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত ছিলেন।
সদালাপি এই ব্যক্তি অবসর গ্রহনের পর ব্যবসা করেন এবং বিভিন্ন জনহিতকর, সামাজিক ও মানবিক সংগঠনের সাথে নিজেকে আমৃত্যু নিয়োজিত রাখেন। সামাজিক কার্যক্রমের সাথে দীর্ঘদিন জড়িত সাদা মনের মানুষ কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত শামসুদ্দিন আহমেদ মানিক মিয়ার মৃত্যুতে স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।