বগুড়ার গাবতলীতে সাজু নামের এক ব্যাক্তির কাছে চাঁদা না পেয়ে ধর্ষন মামলার হুমকি দেয়ায়, ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল ইসলামকে প্রধান আসামি ৫জনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে আদালতে একটি চাঁদাদাবীর মামলা করা হয়েছে।
বগুড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (৩) এ ১৯ জুলাই দায়েরকৃত ২৭৫ সি/২০২২ (গাব) মামলায় বাদী গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের মাজবাড়ি গ্রামের পিতা মৃত্যু মহির উদ্দীন শাহ’র ছেলে মোঃ আবদুর রহমান সাজু বলেছেন, আসামি মোঃ নজরুল ইসলাম শাহ’র সাথে গত ৫ জানুয়ারী ২০২২ তারিখে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে, গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সাধারন সদস্য পদ প্রতিদ্বন্দিতা করেন। প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলাম বাদী সাজুকে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করে। সাজু নির্বাচন করায় নজরুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এছাড়াও বাদী নামে, নজরুল ইসলাম ১১পি/২১ (গাব) ও জি আর ২৯৮/২০ (গাব) দু’টি মামলা করে। একটি মামলা নিস্পত্তি হয় এবং অপর মামলাটিতে বাদী আদালত থেকে জামিনে রয়েছে।
বাদীর বাগবাড়ি বাজারে সার ও কীটনাশকের ব্যবসার পাশাপাশি হাঁসের খামারের ব্যবসা করে। ১২ জুলাই রাত ৮ টার মাজবাড়ি গ্রামের ভ্যান চালক শাজাহানের বাড়িতে ভ্যানগাড়ি ভাড়া করতে যাওয়ার সময়, নজরুল ইসলাম শাহ সহ তার সঙ্গীয় ব্যাক্তিরা বাদীকে মারপিট করে জোরপুর্বক শাজাহানের ঘরে ঢুকে দিয়ে বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। শাজাহানের স্ত্রী সালমার সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রচার করে এবং পুলিশকে সংবাদ দিলে, তাকে রাতেই থানায় নিয়ে যায়। পরদিন ১৩ জুলাই শাজাহানের স্ত্রী সালমা বেগম থানায় এসে অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে জানায়, আবদুর রহমান সাজু তাকে কোন ধর্ষন ও অনৈতিক কাজ করেনি। তার নামে মিথ্যা মামলা দিবোনা।
১৫ জুলাই শুক্রবার বিকেলে আসামি নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য আসামিরা বাদীর বাড়ির সামনে তাকে পথরোধ করে তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে, টাকা না পেলে সালমা বেগমকে দিয়ে ধর্ষন সহ অন্যান্য মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। মামলাটি আদালত থেকে গাবতলী মডেল থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দিয়েছেন বলে জানাগেছে। নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। নির্বাচনে হেরে গিয়ে সাজু মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।