রংপুরের ঐতিহ্যবাহী জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা কোন মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত নন। জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট একটি স্বনামধন্য ঐতিহ্যবাহী মার্কেট, এখানে যারা ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন, তারা রংপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। শুধু ব্যবসা পরিচালনা করি না, এখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করেছি। তাই সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য ও ব্যবসায়ীদের মাদকের সাথে জড়িত সন্দেহ পোষন করে তথ্য প্রচার করা কিংবা তথ্য প্রদান করার বিষয়টি আমাদেরকে খুবই মর্মাহত করেছে। তাই আমরা জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
শনিবার(২৩ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবী তুলে উদ্ভূতপরিস্থিতি নিয়ে লিখিত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক রশিদুজ্জামান বুলবুল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, এই বৃহৎ মার্কেটে কেনাকাটার জন্য পার্শ্ববর্তী জেলা শহর থেকে বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার মানুষের আগমন ঘটে। সমিতি আপ্রাণ চেষ্টা করেন মার্কেটের আইন শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের। কিন্তু সল্প সংখক কর্মচারী দিয়ে মার্কেট পরিচালনা করা হয়ে থাকে। অনেক ক্রেতার ভিড়ে কে কখন বাথরুমে গিয়ে সঙ্গে করে নিয়া আশা মাদকদ্রব্য সেবন করেন তা ক্ষতিয়ে দেখা দুরুহ ব্যপার। আমাদের মার্কেটের ব্যবসায়ীগন প্রথম শ্রেণীর ব্যবসায়ী, তারা কোন অবস্থায় এই ধরনের মাদক দ্রব্যের সাথে জড়িত নয়। বরং এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি যারা মার্কেটে কেনা কাটার জন্য এসে গোপনে বাথরুমে গিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে আসা মাদকদ্রব্য সেবন করেন, এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, মার্কেটের আজকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মুলত অন্য কারণে সৃষ্টি হয়েছে।
এই মার্কেটে প্রায় ৩৫০টি ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। সরকারের সবধরনের নিয়ম মেনে সততা ও নিষ্ঠার সাথে প্রায় ৪০ বছর ধরে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু মার্কেটের সমিতির কারো সাথে পরামর্শ না করে শুধুমাত্র সমিতির সভাপতির জোগসাজে মার্কেটের ২য় তলায় সাইকেল গ্যারেজের উপরে ১৬ টি নতুন দোকান ঘর গোপনে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হয়। এতে সরকার বড় অংশের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। এই ঘটনাকে আড়াল করতে গিয়ে মিথ্যে মাদকের নাটক সাজানো হয়েছে এবং প্রচার করে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে। আমরা বরাদ্দকৃত ১৬ টি দোকানের পূণরায় টেন্ডার আহবান করার অনুরোধ ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে জানিয়েছি। এরপরেও জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার প্রেসিডেন্ট ও সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন, মার্কেটের সাবেক সভাপতি জুয়েল আহমেদ, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোকসেদার রহমান মুকুলসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যসহ স্থানীয় জাতীয় প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া, অন-লাইন মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।