নীলফামারীর সৈয়দপুরে মহাজোটের এমপি আলহাজ¦ আহসান আদেলুর রহমান আদেল এর বিরুদ্ধে সম্প্রতি জাতীয় পার্টির কতিপয় দাবিদার নেতা কর্তৃক অপপ্রচার চালান হচ্ছে। শুধু অপপ্রচার চালিয়ে তারা ক্ষান্ত হননি সাথে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে তারা গভীর ষড়যন্তে লিপ্ত হয়েছে। দলকে ভেঙ্গে সুনাম নষ্ঠে মেতে ওঠেছে অপপ্রচারকারীরা। তারই প্রতিবাদে জাতীয় পার্টি সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর শাখা আয়োজন করে এক সংবাদ সম্মেলন। জাতীয় পার্টির অস্থায়ী কার্যালয় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ সড়কে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলহাজ¦ জয়নাল আবেদীন, যুগ্ন আহ্বায়ক আবদুর রউফ,সদস্য সচিব জি এম কবির মিঠু, জাতীয় পার্টি পৌর শাখার আহ্বায়ক সহিদ মিয়া, যুগ্ন আহ্বায়ক কাজী মইনুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি কামারপুকুর ইউনিয়ন শাখা কমিটির নেতা নুরুল ইসলামসহ অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান জাতীয় পার্টি সৈয়দপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আলহাজ¦ জয়নাল আবেদীনের পক্ষে জাতীয় পার্টি সৈয়দপুর পৌর শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক কাজী মইনুল ইসলাম।
তিনি জানান,গত ২১ জুলাই জাতীয় পার্টি উপজেলা শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক সিদ্দিক ও পৌর সদস্য সচিব রাকিব খান কতিপয় নামধারি বহিরাগত দুৃস্কৃতিকারীগনকে নিয়ে এমপি আদেলুর রহমান আদেলকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। যা দলের শৃংখলা ভঙ্গ ও ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। আমরা ওই ঘনটার নিন্দা জানাই। সিদ্দিক তিন বার পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান। এতে বুঝা যায় তিনি একজন জনধিকৃত, জনবিচ্ছিন্ন,অবৈধ ব্যবসায়ি ও অরাজনৈতিক ব্যক্তি। তিনি নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য জাতীয় পার্টিকে ব্যবহার করেন। তিনি জাতীয় পার্টির প্রভাব খাটিয়ে তার পরিচালিত ইকু হেরিটেজে নারী ব্যবসা করেন। এহেন অপকর্মের কোন ব্যক্তি জাতীয় পার্টিতে থাকতে পারেন না। আমরা তার বহিস্কার দাবি করছি।
গত ১৩ জুলাই বর্ধিত সভায় তিনি উপজেলা শাখার আহ্বায়ক পদের দাবি করে ব্যর্থ হন। এ অবস্থায় তিনি তার বাহিনী দিয়ে এমপি আদেলকে লাঞ্চিত করেন। কিন্তু তার পরও তিনি বসে নেই। একের পর এক তিনি তার বাহিনী দিয়ে জাতীয় পার্টি ও এমপি আদেলুর রহমান আদেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। যা দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোপের জন্ম দিয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর দায়ভার ওই সিদ্দিককে নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন নারী পিপাসু,অসামাজিক কর্মকা-ে জড়িত ও দলীয় শৃংখলা ভঙ্গকারী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক ও তার সাথে রাকিব খানকে দ্রুত সময়ে দল থেকে বহিস্কার দাবি করেন। অন্যথায় সৈয়দপুরে প্রকৃত জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীরা আন্দোলনে যাবে।
এ ব্যাপারে সিদ্দিকুল আলম জানান,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সঠিক নয়। সমাজে আমাকে হেয় করার জন্য তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে।