জাতীয় সৎস্য সপ্তাহে পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলাঞ্চলের নদী-নালা,খালবিলে অবাধে নিষিদ্ধ চায়না দোয়ারি,কারেন্ট ও বাদাই জাল দিয়ে ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব চলছে। মাছ নিধনে মেতে উঠেছে স্থানীয় অসাধু মৎস্যজীবীরা। এতে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে সরেজমিন চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল নদী ও বিল অঞ্চলে এসব নিষিদ্ধ জাল ফেলে মাছ ধরা হচ্ছে। উপজেলা মৎস্য বিভাগের তৎপরতা না থাকায় অসাধু মৎস্যজীবীরা সহজে ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ নিধন করছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। বাজারে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে এসকল মাছ।
জানা গেছে, উন্মুক্ত জলাশয়গুলো বন্যায় প্ল¬াবিত হওয়ায় যমুনা নদীর দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ চলনবিলের মিঠা পানিতে ডিম ছাড়ার জন্য নিরাপদ আশ্রয় ভেবে চলে আসে। সেই সুযোগে কিছু স্থানীয় অসাধু মৎস্যজীবীরা এলাকার বিভিন্ন নদী,খাল,বিল ও জলাশয়ে নিষিদ্ধ চায়না দোয়ারি, কারেন্ট, বেড় ও বাদাই জাল ফেলে এই মাছ ধরে নিচ্ছে নির্বিঘেœ। শোল,পুঁটি,ট্যাংরা,পাবদা,সরপুঁটি,ফাতাশি,বোয়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ শিকার করছে মৎস্যজীবীরা। স্থানীয় সব হাট-বাজার, মাছের আড়তে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান,আগে এ অঞ্চলে প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া যেতো। এখন এসব মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। নদীতে অবৈধ সোঁতি জালের বাঁধ স্থাপন ও নিষিদ্ধ চায়না দোয়ারি জাল দিয়ে মাছ শিকারের ফলে দেশি মাছ কমে যাচ্ছে। অবৈধভাবে মাছ শিকার বন্ধ হলে এলাকায় দেশীয় মাছের অভাব দূর হতো। নদী নালাসহ বিল অঞ্চলে জাল দিয়ে মাছ ধরলেও যেন দেখার কেউ নাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুজিত কুমার মুন্সী বলেন, মা মাছ নিধনরোধে এবং সবাইকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। চায়না জাল,কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে শতাধিক চায়না জাল জব্দ করে পোড়ানো হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।