মহাদেবপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গর্ভবর্তী মহিলাকে বেদম প্রহারের বিষয় মামলা দায়ের করায় প্রতিপক্ষের লোকজন এখন প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। প্রতিনিয়ন হুমকির মুখে ভূক্তভোগি পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আট মাসের গর্ভবর্তী ওই মহিলা উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের গুপিনাথপুর গ্রামের আবদুল মাজেদ মন্ডলের ছেলে মো: সুজাউদৌলার স্ত্রী জয়নুর বেগম (২৫)। তিনি তার গর্ভের সন্তান নিয়ে আশংকায় দিন কাটাচ্ছেন।
জয়নুরের পিতা সফাপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আশরাফুর ইসলাম অভিযোগ করেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ২ জুলাই তার জামাইয়ের তিন বোন সুরাইয়া খানম, সুলতানা রাজিয়া, শাহনাজ পারভীন এবং তাদের স্বামী সেরাতুন নবী, বজলুর রশিদ ওরফে হারুন ও নজরুল ইসলাম খান জয়নুর বেগমের পেটে লাঠি দিয়ে প্রহার করে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার গর্ভের সন্তানের অবস্থা আশংকাজনক।
এব্যাপারে আশরাফুল ইসলাম বাদি হয়ে ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ বজলুর রশিদ ওরফে হারুনকে আটক করে। কিন্তু অন্য আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় তারা প্রকাশ্যে ওই পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। সম্প্রতি জয়নুর চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আসেন। হারুনও জামিনে বেরিয়ে আসে। তারা জয়নুরকে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়।
জানাতে চাইলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই শামিনুল ইসলাম জানান, সোমবার (২৫ জুলাই) অন্য আসামিরা কোর্টে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ বিচারক নজরুল ইসলাম খানকে জেল হাজতে পাঠান ও অন্যান্যের জামিন দেন। তবে হুমকির বিষয় লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।