পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে রনি ভূঁইয়া বাহিনীর হামলায় মো. নুরু খান (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নুরু খানের ছেলে নোমান ও ভাতিজা রাসেলসহ তিন জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। সোমবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ভূঁইয়া স্লুইজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের ছেলে সুমন খান (২৬) বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় রনি ভূঁইয়াকে প্রধান আসামি করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ভোলা জেলার দুলার হাট থানার মুজিব নগর ইউনিয়নের সুমন সরদার (২২) জুয়েল খান (২২) এবং গলাচিপা উপজেলার বড় শিবা গ্রামের আমির হোসেন ভুট্টু (৫০), ফরিদ বেপারি (২৫) ও নুরনাহার (২৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের বড় শিবা গ্রামের বাসিন্দা রনি'র বাবা আবদুল মন্নান ভূঁইয়ার সাথে নুরু খানের জমিজমা সংক্রান্ত ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে সোমবার রাত ৮ টার দিকে ভূঁইয়া স্লুইজ সংলগ্ন দাখিল মাদ্রাসার পূর্ব পাশের চৌরাস্তায় ফেলে রনি ও তার বাহিনীর সদস্যরা নুরু খানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় নুরু খানের ছেলে নোমান ও ভাতিজা রাসেল তাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে গেলে তাদেরকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা নুরু খানকে মুমূর্ষু অবস্থায় গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গলাচিা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যা মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছ। হত্যার সাথে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।