নওগাঁর নিয়ামতপুরে বিরোধপূর্ণ জমিজমার জেরে এক সংঘর্ষে ভাগিনী হাসিনার (৩৫) ছুরিকাঘাতে খালু সায়েফ উদ্দিন (৪৫) গুরুতর জখম হয়ে এখন রাজশাহী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের চন্দননগর কলেজ সংলগ্ন পাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সায়েফ উদ্দিন চন্দননগর ইউনিয়নের কয়াস গ্রামের বাসিন্দা।
সংঘর্ষে ভাগিনির ছুরকাঘাতে তার পেট ফেঁসে যায় এবং নাড়িভুঁড়ি বাইরে বের হয়ে আসে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধনি রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত সায়েফ উদ্দিনের মেয়ে শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে খালাতো বোন হাসিনা ও খালাতো বোনের মেয়ে হ্যাপিকে (১৯) অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। হাসিনা চন্দননগর গ্রামের আসাদুলের স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিরিনার নানা বাহার আলী তার দুই মেয়ে শাহানারাকে (শিরিনার মা) ১৯ শতক ও অপর মেয়ে জাহানারা (হাসিনার মা ও শিরিনার খালা) ৫ শতক জমি লিখে দেন। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই জমির দখল নিয়ে তাদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন মঙ্গলবার সকালে ওই জমিতে শিরিনার বাবা সায়েফ উদ্দীন জমিতে হাল চাষ করতে যান। সংবাদ পেয়ে হাসিনা ও তার মেয়ে হ্যাপি দেশীয় অস্ত্র (ছুরি ও হাসুয়া) হাতে নিয়ে তেড়ে আসে ও হামলা চালায় তার ওপর।
অভিযোগকারী আহত সায়েফ উদ্দীনের মেয়ে শিরিনা জানান, প্রায় তিন বছর আগে খালা জাহানারা (হাসিনার মা) মারা যাওয়ার পর তারা আমাদের জমি যবরদখরল করার চেষ্টা চালায়। ঘটনার দিন বাবা জমিতে হাল চাষ দিতে গেলে আমার খালাতে বোন হাসিনা ও বোনের মেয়ে হ্যাপি হাসুয়া ছুরি নিয়ে বাবার উপর হামলা চালায়। এ সময় হাসিনা বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সজোরে ছুরি ঢুকায় বাবার পেটে। এতে বাবার পেট ফেঁসে নাড়ি-ভুড়ি বেরিয়ে আসে বাইরে। বাবাকে উদ্ধার করতে মা এগিয়ে গেলে হ্যাপিও হাসুয়া চালায় মা শাহানার উপর। এতেও তিনি আহত হন। তিনি আরো জানান, এর আগেও তারা মারধর করেছিল বলে থানায় অভিযোগ দেওয়া ছিল। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
নিয়ামতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।