দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি মদিনা মসজিদের সামনে মানিক ফকিরের বাড়ী থেকে এক রাউ গুলিসহ একটি দেশী পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুলনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তানভীর আহমদ আজ সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুর ২ টার সময় দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আহসান উল্লাহ চৌধুরীর অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জানান, গত দিন সোমবার ধৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদে আসামি মোঃ ইসমাইল হোসেনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক খুলনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান (বিপিএম) এর নির্দেশক্রমে খুলনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ-সার্কেল এস এম রাজু আহমেদ এর নেতৃত্বে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ চৌধুরী দিঘলিয়া থানার এসআই আজিজ মাহমুদ, এসআই সঞ্জিত সাহা, এসআই রানা প্রতাব, এসআই রফিকুল ইসলাম, এএসআই নাসিরুদ্দিন, এএসআই শাহাবুদ্দীন সঙ্গীয় ফোর্সসহ আসামি নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে আসামি ইসমাইলের (৩৪) দেখানো মোতাবেক রাত সাড়ে ৩ টার দিকে উল্লিখিত গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আসামীদের রিমা- গ্রহণসহ অন্যান্য আইনগত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
উল্লেখ্য গত সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া কলোনি এলাকার মৃত আবুল হোসেনের স্ত্রী রিনা বেগমের(৪৫) ভাড়া বাসায় অস্ত্রশস্ত্র সহ ডাকাতি সংঘটিত করার প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ ও দিঘলিয়া থানা পুলিশের একটা চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে (১) মোঃ রাজিব হোসেন (২৮) পিতা মৃত সুলতান সরদার সাং যোগীপোল ৭ নং ওয়ার্ড, থানা-খানজাহান আলী কেএমপি খুলনা, এ/পি রিনা বেগম (৪৫), স্বামী মৃত আবুল হোসেন সাং দেয়াড়া কলোনি (৫ নং ওয়ার্ড) থানা-দিঘলিয়া, জেলা খুলনা এর (বাড়ির ভাড়াটিয়া), (২) মোঃ ইসমাইল হোসেন (৩৪) পিতা মোঃ শামসুল আলম, সাং সেনহাটি (রেজার মোড়), থানা দিঘলিয়া জেলা খুলনাদ্বয়কে গ্রেফতার করে। তাদের হেফাজত হতে একটা একনলা বন্দুক, ৫ রাউ- গুলি, একটি ছোট ব্যাগ, একটা কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ, একটা রামদা, একটা ছোরা, ২ টা স্লাই রেঞ্জ, একটা লোহার হাতুড়ি ও একটা স্ক্রু ড্রাইভার উদ্ধার করা হয়। যার প্রেক্ষিতে দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ১০ তারিখ ২৫/০৭/২০২২ ইং। ধারা ৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড এবং দিঘলিয়া থানার মামলা নং ১১ তারিখ ২৫/০৭/২০২২ ইং ধারা দি আর্মস এ্যাক্ট, ১৮৭৮ এর ১৯ এ/১৯ (এফ)।