সৌদিতে গাড়ি চাপায় নিহত বাচ্চু মিয়ার (৩৫) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সোমবার বিকেলে সৌদি আরবের মক্কায় গাড়ি চাপায় তিনি নিহত হন। বাচ্চু মিয়া কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার সৈয়দগাঁও গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে বাচ্চু মিয়া সৌদি আরবে যান। সেখানে মক্কা নগরী এলাকায় আল এমামা নামের একটি কোম্পানীতে বলোদিয়ার (পরিচ্ছন্ন কর্মী) চাকুরী করতেন। সোমবার বিকেলে কোম্পানীর একটি গাড়িতে করে ময়লা নিয়ে মরু ভূমিতে ফেলতে যান। সেখানে যাওয়ার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এ সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। সবুজ মিয়া নামের সৌদি প্রবাসী বাচ্চু মিয়ার এক বন্ধুর মাধ্যমে খবরটি সোমবার রাতে এসে পৌছলে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। সুমাইয়া (১২), সামিয়া ও জিহাদ (৯) নামের জমজ সন্তানসহ তিন সন্তান রয়েছে বাচ্চু মিয়ার।
বাচ্চু মিয়ার বাবা আবদুল খালেক বলেন, সোমবার রাতে প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসী সবুজ মিয়া নামের তার এক বন্ধুর মাধ্যমে বাচ্চুর মৃত্যুর খবর জানতে পারি। তিনি জানান, জমি বিক্রি ও ধারদেনা করে সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ করে তাকে বিদেশ পাঠিয়েছিলাম। তার মৃত্যুতে সব শেষ হয়ে গেছে। লাশটি যাতে দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয় সে জন্য তিনি সরকারের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।