কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ষাইটধার গ্রামে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে নানার বাড়ীতে এসে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী (১৩) আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সে পাশ্ববর্তী কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের টাংগেরগাও গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে। সে করগাঁও ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিকলী সদর ইউনিয়নের ষাইটধার গ্রামের নানা শামসু উদ্দিনের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। সন্ধ্যায় থাকে খোঁজা-খুঁজি করে না পাওয়াতে তাদের মধ্যে সন্দেহ হয়। তখন নানা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে দেখতে পান ঘরের আড়ার মধ্যে উড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে এলাকাবাসী খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে নিকলী থানার তদন্ত অফিসার মোঃ আক্তারুজ্জামান খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, থানায় কোনো মামলা হয়নি। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ইয়াসমীনের আত্মহত্যা কারণ উদঘাটনের জন্য তারা কাজ করছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বুধবার সকালে কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ব্যাপারে নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।