শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদ হাওলাদার দলীয় কোন্দলের শিকার। নিজ দলের প্রতিপক্ষরা তাকে ঘায়েল করতে ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবী তার। বুধবার (২৭ জুলাই) শরণখোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমার ভগ্নিপতি আ. মালেক হাওলাদার ৩৭ নম্বর পশ্চিম বানিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ওই বিদ্যালয়টি ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিক গাজীর বাড়ির সামনে হওয়ায় তিনি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের সরকারি বরাদ্দের অর্থ লুচপাট করে আসছেন। এসবের প্রতিবাদ করায় গত ২৩ জুলাই ওই ইউপি সদস্য আমার ভগ্নিপতি, বোন ও ভাগ্নেকে মারধর করেন।
কিন্তু পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা সিদ্দিক গাজীকে ব্যবহার করে তার ওপর হামলার মিথ্যা অভিযোগের দায় আমার উপর চাপানোর অপচেষ্টা চালান। গত সোমবার (২৫জুলাই) খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে সিদ্দিক গাজী আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে নানা রকম ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেন। আমি মনে করি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগ যাতে মাঠে নামতে না পারে সেই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাব্বিরসহ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।