যশোরের ঝিকরগাছায় নগদ একাউন্টে আসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত সপ্তাহ ধরে সরকার মোবাইলে নগদ একাউন্টের মাধ্যমে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ১৯০০ টাকা উপবৃত্তি দিচ্ছে। সেই টাকা তুলতে নগদ এজেন্টের দোকানে গিয়ে অধিকাংশ অভিভাবক দেখেন তাদের টাকা আগেই কেউ তুলে নিয়েছে।
কৃষ্ণনগর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাঈদ নামে একজন অভিভাবক জানান, আমার মোবাইলে নগদ একাউন্টে আসা ১৯০০ টাকা আজ তুলতে গিয়ে দেখি গত ২১ জুলাই ট্রানজেকশন আই ডি ৭১উ০ত৮৮৩ এর মাধ্যমে ০১৭৮৬-৯৯৩৪৩৫ এই এজেন্ট নং দিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই নংটি আল আমিন ভ্যারাইটিজ এর নামে নগদ কোম্পানি এজেন্ট দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন নগদ কোম্পানির যোগসাজশে এই টাকা তোলা হয়েছে।
পৌর সদরের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী হান্নান হোসেন জানান, প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আসছে যাদের টাকা প্রতারণার মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয়েছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে ০১৩২০৪৬২৬৫৯, ০১৭৩৮৮২৯৯৫৫, ০১৯১১৮৩৩৪৪৯, ০১৭৪৮১০৩৪৭০, ০১৭৫৭৬৬৮০০৪, ০১৯৬১৪১৮০৫৫, এ সকল মোবাইল নম্বর ছাড়াও উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের টাকা নগদ এর দূর্নীতিবাজ কিছু কর্মচারী / কর্মকর্তা জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইছমত আরা বলেন, আমরা এধরণের অভিযোগ পেয়েছি।
নগদের জনসংযোগ কর্মকর্তা দেবব্রত মুখার্জি জানান, পিন নং না জানলে টাকা তোলা সম্ভব নয়। তাহলে কিভাবে বন্ধ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উঠে গেলো এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি নং গুলো আমাকে দেন আমাদের টেকনিক্যাল টিমের সাথে কথা বলে দেখবো কি করা যায়।
এদিকে ভুক্তভোগীরা ক্ষোভের সাথে বলেন, সরকার ভালোর জন্য মোবাইলে টাকা দিচ্ছে কিন্তু একশ্রেণির অসাধু মানুষের জন্য আমরা এর সুফল পাচ্ছি না।