দিঘলিয়া উপজেলায় সর্বোচ্চ দুইটি প্রশাসনিক পদে দীর্ঘ শূণ্যতার কারণে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের রুটিন ওয়ার্ক মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দৈনন্দিন বিড়াম্বনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি উপজেলার একটা বড় প্রশাসনিক পদ। এ পদে দীর্ঘ কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেছেন মোঃ আলীমুজ্জামান মিলন। তিনি তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি পালন ও কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ মানাতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এই মহানুভব কর্মকর্তা তাঁর ভূমি দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরেও এনেছেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন। যা দিঘলিয়ার মানুষ চিরদিন স্মরণ করবে। চিরদিন দিঘলিয়াবাসীর মনের মণিকোঠায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই কর্মকর্তা গত ১৯ মে থেকে উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ গমণ করেছেন। চলতি বছরের ১৮ মে ছিল তাঁর দিঘলিয়া উপজেলায় দায়িত্ব পালনের শেষ দিন। তাঁর বিদয়ের সাথে সাথে দিঘলিয়া উপজেলায় একজন এসি ল্যা- ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে হারিয়েছেন। দিঘলিয়া উপজেলায় করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর এ কর্মকর্তা দীর্ঘ ৬ মাস ছুটিতে থাকেন পেশাগত প্রশিক্ষণের কারণে। যে শূন্যতা সামাল দিয়েছেন দিঘলিয়া উপজেলার অপর সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুল আলম। তিনিও করোনার চাপ পাড়ি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ অতিরিক্ত কর্মচাপ মাথায় নিয়ে নিরলসভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে গিয়ে শারীরিকভাবে মারাতœক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মহানুভব এ কর্মকর্তা অসুস্থ থেকেও ২ টি সর্বোচ্চ প্রশাসনিক দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি এতই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন যে তাঁর চিকৎসা নিতে দেশের বাইরে যেতে হয়েছে। সংগত কারণে এ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের রুটিন ওয়ার্ক মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আর বেশি রকমের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। উপজেলার মানুষের ভূমি সংক্রান্ত সমস্যার নিস্পত্তি, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। উল্লেখ্য সম্প্রতি উপজেলা মৎস্য দপ্তরের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের চতুর্থ দিনে অবৈধ মৎস্য নিধন প্রতিরোধে পরিচালিত অভিযানে মাছ শিকারির নেট জাল, পাটা ও চারো জব্দ করলেও মালিকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট করা সম্ভব হয়নি ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের শূন্যতায়।