খুলনার পাইকগাছায় গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান, এক সদস্য ও দুই গ্রাম পুলিশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে। পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বুধবার একই ইউনিয়নের অসিত কুমার দাশ লিখিত এজাহার দাখিল করলে বিজ্ঞ বিচারক মো. আনোয়ারুল ইসলাম অভিযোগটি থানা ওসিকে এফআইআর হিসাবে গণ্য করার আদেশ দিয়েছেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামি চেয়ারম্যান সহোদর শেখ রেজাউল ইসলাম, হৃদয় শেখ, শরিফুল ইসলাম গাজী, গ্রাম পুলিশ হাবিবুর রহমান গাজী, আনু মোড়ল, ইউপি সদস্য মীর আনোয়ার এলাহী এবং প্রভাষ বিশ্বাস। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী অসিত কুমার দাশ ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পাওনা আদায় লক্ষ্যে ঋণগ্রহীতা একই এলাকার প্রভাষ বিশ্বাসের প্রদেয় চেক ডিজঅনার করিয়ে পাইকগাছা আদালতে সিআর ৭২০/২০ নং মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে জেলা দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। ওই মামলার দায় থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য বিবাদী প্রভাষ বিশ্বাস অত্র গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাথে আঁতাত করে অসিত কুমার দাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথারীতি নোটিশ করা হয় এবং ধার্যকৃত গত ১৯ জুলাই ইউনিয়ন পরিষদে শুনানীকালে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলামসহ অন্যান্য আসামিরা অসিত কুমার দাশ ও তার সাথে থাকা কয়েকজনকে পরিষদের গোডাউনে মধ্যে নিয়ে বেঁধে রেখে মারপিট করা হয় এবং অসিত কুমার দাশের কাছে চেক স্ট্যাম্প দাবী করা হয়। একপর্যায় মোটরসাইকেলযোগে অসিত কুমার দাশের বাড়ি নিয়ে জোর করে তার ঘরের আলমারি থেকে রূপালী ব্যাংকের (৫টি পাতাসহ) চেক বই ও প্রভাষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলার দায়েরকৃত কাগজপত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে ফের ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। এ সময় অসিত কুমার দাশের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করা হয়। তা হলে সব মিটে যাবে মর্মে বলে জানানো হয়। অন্যথায় বড় বিপদ হবে মর্মে অসিত কুমার সাথে থাকা সবাইকে হুমকী দেওয়া হয়। এ সময় টাকা দিতে অস্বীকার জানালে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওই চেকের প্রতি পাতায় অসিত দাশের তিনটি করে স্বাক্ষর এবং ১০০ টাকা মূল্যের নয়টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের অফিসিয়াল কর্মকর্তা বিথিকা বিশ্বাসের নিকট চেকের পাতা ও স্ট্যাম্পসহ সকল কাগজপত্র রেখে দেওয়া হয়। বাদী অসিত কুমার দাশ জানান, মামলার পর আসামীর পলাতক রয়েছে। তবে শুনছি ঊচ্ছ আদালত থেকে জমিনে এসে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন।