হত্যার উদ্দেশে মারপিট এবং জীবননাশের হুমকির প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন গতকাল ২৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১২ টায় রূপসা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামের ফেরদাউস শেখ এর ছেলে মোঃ রুবেল শেখ।
লিখত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার চাচা মোঃ জুয়েল হোসেনের ঘেরে আমি দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ কর্মরত আছি। গত ৪ জুলাই পূর্ব রূপসা আবদুল রবের মোড়ে বাগমারা গ্রামের মৃত রেমান শেখ এর ছেলে শাহাজান শেখ ও তার ভাইপো আবুজার বাবু, আবু আমির, আবু হুরায়রা ও আবু কাশেম জুয়েল শেখকে মারধর করে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজতে প্রেরণ করে। এঘটনার পর গত ৭ জুলাই আমার সাথে শাহাজান সাহেবের দেখা হলে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং তাহার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ভাইপো আবু হুরাই আমার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র (পিস্তল) ঠেকিয়ে বলে এই এলাকা ছেড়ে বউ ছেলে নিয়ে চলে যেতে। তার প্রতিবাদে গত ১৬ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করলে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ২৩ জুলাই আমার উপর আতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় শাহাজান শেখের এই ৪ ভাইপো সরাসরিভাবে জড়িত রয়েছে।
এরমধ্যে আবু হুরাই চাকু দিয়ে পেট বরাবর তাক করলে আমি হাত দিয়ে ঠোকানোর চেষ্টা করলে আমার হাত রক্তাক্ত জখম হয় এবং আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরবর্তীতে আমার চাচা জুয়েল খবর পেয়ে আমাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। ২৫ জুলাই এ ঘটনায় আমি থানায় একটা মামলা দায়ের করি, যার মামলা নং-২৩। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এভাবে আর কতদিন আমরা মার খাব দেশে কি বিচার বলতে কিছু নেই ? তবে রূপসা থানার অফিসার্স ইনচার্জের সার্বিক সহযোগিতার আমরা অনেকটা নিরাপদে আছি। তবে তারা আবার সুযোগ পেলে আমাকে হত্যা করবে বলে জীবননাশের হুমকি দেয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, এই শাহাজান শেখের একটি অদৃশ্য শক্তি রয়েছে। যার মাধ্যমে রূপসা এলাকায় কোন কিছু হলেই তিনি মাথা ঘামান।
এই অদৃশ্য শক্তির কাছে অনেক অসহায় পরিবার জিম্মি হয়ে পড়েছে। ভয়ে কেউ মুখ খুলেতে পারছে না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মো. জুয়েল হোসেন, আবদুল গফ্ফার শেখ, মো. জাহাঙ্গীর শেখ, মো. আবু সাঈদ শেখ, মো. মামুন শেখ, মো. ইসরাইল শেখ, জুয়েল শেখ, মোঃ আবদার শেখ, মো. হারন জমাদ্দার।