কচুয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন্ কর্মসূচি পালন করে। কর্মসুচিগুলো হলো আ›নদ র্যালী,কেক কাঁটা ও আলোচনা সভা। গতকাল বিকাল ৩টায় কচুয়া আওয়ামী লীগ অফিসে আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগ কচুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি সেখ সাজ্জাদুল ইসলাম সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: ভুঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠানিক সম্পাদক মীর ফজলে সাঈদ ডাবলু. জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠানিক সম্পাদক নকীব নজিবুল হক নজু,জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল (ভিপি সোহেল),কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত)অধ্যক্ষ মো: সাইফুল ইসলাম,কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিসেস নাজমা সরোয়ার, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মো: কাদের সরদার।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক চেয়ারম্যান এসএম আবু বক্কার সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শিকদার কামরুল হাসান কচি,শ্রমিকলীগের সভাপতি খান সহিদুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক কাজী সহিদুল ইসলাম,মহিলা আওয়ামীলীিগের সম্পাদিকা কাজল রানী মন্ডল. কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক মো: ছালাম মল্লিক,ছাত্রলীগের আহ্বায়ক যুবমহিলাা লীগের সভাপতি তানিয়া আক্তার নাহার,সম্পাদক আফসানা মিমি, তাতীঁলীগের আহ্বায়ক সেখ সিরাজুল ইসলাম মৎস্যলীগের সভাপতি রিপন সিকদার সহ উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি সম্পাদকবৃন্দ।
কচুয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মোতালেবের পরিবার সংবাদ সম্মেলনে দাবি
এফএনএস (কচুয়া, বাগেরহাট) :
কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের চরসোনাকুর গ্রামের মোতালেব সরদারের পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে এমন দাবি তুলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা ও ন্যায় বিচার কামনা করেছেন।গতকাল বিকাল ৫ টায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কচুয়া উপজেলা শাখায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে আমিরুন নেছা স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে শিহাব সরদার।এসময় মোতালেব সরদার ও তার স্ত্রী আমিরুন নেছা এবং ছেলে শিহাব সরদার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখিত সংবাদ সম্মেলনে শিহাব সরদার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, জুলাই মাসের ২৪ তারিখ সন্ধ্যা ৭ টায় আমার পিতা মোতালেব সরদার কুদ্দুসের দোকানের সামনে গেলে জাকির শেখ তাকে মারধর সহ আমাদের জায়গার কাছে না যাওয়ার হুমকি দেয়।এসময় সামান্য কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে জাকির শেখ তাকে প্রথমে একবার মারপিট করেন বলে অভিযোগ করেন।এর পর আবারও সেরাজ শেখ, সাইদুল সেখকে সাথে নিয়ে মোফাজ্জেল সরদারের হুকুমে জাকির শেখ সহ শেরাজ শেখ এবং সাইদুল শেখ ঘরের ভিতর এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে সুপারি গাছের মোটা লাঠি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে।এতে তার মাথা ও কান কেটে যায়।পরবর্তীতে কচুয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে তার মাথায় ৭ টি সেলাই ও কানে ৭ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।তিনি বর্তমানে কচুয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন মারামারির সময় সেরাজ শেখ তার ধান বিক্রির ১৫ হাজার ৭ শত টাকা নিয়ে যায়। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও জানান যে,এ ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে বারাবাড়ি করলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় এবং থানা বা কোর্টে মামলা করার চেষ্টা করলে বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে মোতালেব সরদার এই মর্মে কচুয়া থানায় ১টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানায়। বর্তমানে পরিবারটি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।