১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সদরে কামাতআঙ্গারীয়া গ্রামে জেটিসি নামে একটি পাট ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেন। উল্লেখ্য, সরকারীভাবে জমি অধিগ্রহণ করে পাট ক্রয় কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছিল। ফলে কৃষকরা পাটের ন্যায্যমূল্য পেয়েছিলো। আজ সে সুযোগ নেই। কারণ জেটিসি নামের পাট ক্রয়ের প্রতিষ্ঠানটি নাকি বিক্রি হয়ে গেছে। সরকারের অধিগ্রহণ করা জমি কি কেউ বিক্রি করতে পারে? সরকার যদি পাট ক্রয়ের কেন্দ্রটি বিক্রয় করতে চান, তাহলে যাদের জমি অধিগ্রহণ করেছিলেন তাদেরকে ঐ জমি ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা উচিত ছিলো।
কিন্তু সরকারের নিয়োজিত ব্যক্তিরা সে কাজ না করে জেটিসির জমি ও অবকাঠামো বিক্রি করে দিয়েছে। ফলে কয়েক বছর থেকে পাট ক্রয় বন্ধ।
প্রথমে জেটিসি ক্রয় করেছিলো আদমজী জুট মিল তারপর ক্রয় করে লতিফ বাওয়ানী জুট মিল। পরবর্তীতে ভূঈয়া কন্সট্রাকশন খরিদ করেন। তিনি পাট গোডাউন বিক্রির বিজ্ঞপ্তি দিলে জহির উদ্দিন গং বায়না সূত্রে ক্রয় করেন। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এখনো জমি রেজিস্ট্রার হয়নি। পূর্বের ডকুমেন্ট দেখতে চাইলে তিনি অসম্মতি জানান। স্থানীয় পাট চাষীরা বর্তমানে পাটের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না। অনেকেই পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে।
স্থানীয় বেকার যুবকদের বেকার সমস্যা দূর করতে শিল্প কারখানা স্থাপন করার জন্য এলাকার সচেতন মহল সরকারের নিকট দাবী করেছেন।