বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শৈলদাহ এসইএসডিপি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক গনের উপর চড়াও হওয়া, অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং অসৌজন্যমুলক আচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত ৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখ স্থানীয় সুধীজনও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক কর্র্তৃক গনস্বাক্ষরিত এ অভিযোগের কপি বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চিতলমারী বরাবর প্রদান করা হয়। ২৯ মার্চ ২০২২ তারিখ দুপুর ১১টায় উপজেলার শৈলদাহ এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযোগের বর্ননা মতে জানাগেছে গত ২৯ মার্চ উপজেলার শৈলদাহ এসইএসডিপি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরাজুল ইসলামের সাথে ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকালে তারা প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করে বলেনযে, অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় ২০০ থেকে ২৫০জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। তারমধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেনি হতে ১০ম শ্রেনি পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রী পাশ করেছে।
যে খবরটি তারা বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের কাছে জানতে পারেন। বিষয়টি আদৌকি সত্য ? এ প্রশ্নের পর তারা প্রধান শিক্ষক মেরাজুল ইসলামের নিকট মার্কশীট দেখতে চান। এ সময় তিনি মার্কশীট দেখাতে পারবেননা বলে জানিয়ে দেন। একই সাথে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এবং বিক্ষুব্দভাবে চড়াও হন।
প্রধান শিক্ষকের ওই রুপ নিলজ্জ আচরণের ন্যায় বিচার পেতে অভিভাবকও স্থানীয় সুধীজন সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষকের ০১৭৫৬-৩৯২৯৯০নম্বর মুঠো ফোনে ঘটনা সংক্রান্তে জানতে চাইলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করে এ প্রতিবেদককে বলেন, একজন প্রধান শিক্ষকের উক্তরুপ আচরণ হতে পারে কি? আপনার কাছে আমারও প্রশ্ন রইলো। বিষয়টি সত্যনয়। মার্কশীট দেখানোয় কোন আপত্তি ছিলোনা। কিন্তু তারা সহনশীলতার পরিচয় দেননি। তারা আমাকে বিব্রতকর প্রশ্ন করেছেন। যা ইচ্ছে তা বলেছেন।