টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহে ২ সন্তানের জনককে আটক করে মারধর করা হয়েছে। শনিবার রাত আড়াই টার দিকে উপজেলার দেওলী ইউনিয়নের আত্রাব গ্রামে ঘটেছে ঘটনাটি। এ ঘটনায় অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। জানা যায়, আত্রাব গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (৪০) প্রতিবেশী প্রবাসীর স্ত্রী ৩ সন্তানের জননীর সঙ্গে পরকীয়ার সন্দেহে ওই গ্রামের গফুর মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া, মৃত আনতাব আলীর ছেলে শফিকুল, শফিকুলের ছেলে শাহাদত ও ইশারত, মোকছেদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ্, আন্তাব আলীর ছেলে জলিল সহ কতিপয় ব্যক্তি উজ্জলের বাড়ীতে প্রবেশ করে উজ্জলকে ঘর থেকে টেনে হিচড়ে এলোপাথারী মারধর করে পাশর্^বর্তী আরেকটি বাড়ীতে আটকে রাখে। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় উজ্জলকে সকালে থানায় সোপর্দ করা হয়। থানা কর্তৃপক্ষের পরামর্শে উজ্জলকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় উজ্জলের স্ত্রী জোসনা বেগম বাদী হয়ে সুফিয়া বেগম ও হাজেরা বেগম নামের দুই নারী সহ উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপরদিকে প্রবাসী মোকছেদ আলীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে উজ্জলের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যপারে দেওলী ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান তাহমিনা হক বলেন, ধর্ষন চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উজ্জ্বল নামের ২ সন্তানের জনককে মারপিট করে রাতে আটক করে রাখা হয়। পরে সকালে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তাকে থানায় পাঠানো হয়েছে।
দেলদুয়ার থানা উপপরিদর্শক সেলিম হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে ধর্ষন চেষ্টা ও মারপিটের আলাদা দুইটি অভিযোগ পেয়েছি।
দেলদুয়ার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাছির উদ্দিন মৃধা বলেন, দেওলী ইউনিয়নের একটি ঘটনায় দুই পক্ষ থানায় এসে পৃথক ২টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।