লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরভূতা এলাকায় খালি জমি থেকে আমেনা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলার চরভূতা গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
তার হাত-পা, পিঠসহ শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ আগুনে দগ্ধ ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয় বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। তবে মৃত্যু নিয়ে এলাকায় জানার রহস্যে বেড়েছে। নিহত আমেনা চরভূতা গ্রামের হেজু মাস্টার বাড়ির কৃষক দিদার হেসেনের স্ত্রী। তিনি তিন কন্যা শিশুর জননী।
স্থানীয়রা জানান, সকালে তোফায়েল আহম্মেদ নামে এক কৃষক সকালে জমিতে কাজ করতে যান। এ সময় তিনি আমেনার মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরিবারের সদস্যরা আমেনার মরদেহ শনাক্ত করেন।পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, আমেনাকে পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার মরদেহ বাড়ির পাশের জমিতে ফেলে রাখা হয়।
নিহত আমেনার বোন ফাতেমা বেগম বলেন, ২০১৪ সালে দিদার হোসেনের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে সাংসারিক কোনো ঝামেলা ছিল না। তবে তার বোনের উপর জিনের আঁচর ছিল। কবিরাজের মাধ্যমে কয়েক বার তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। তবে তার সঙ্গ থেকে জিন যায়নি। জিনরাই তার বোনকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান,সকালে গৃহবধূর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরুতহালে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি বলে তিনি। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক রহস্য উদঘাটন করা যাবে।