গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের সফিউল আলম ফিরে পেতে চান তার আনসার ব্যাটালিয়নের চাকরি। কোন কারণ ছাড়াই চাকরিচ্যুত সফিউল চাকরি ফিরে পেতে আনসার ভিডিপি’র মহাপরিচালক বরাবর আপীল আবেদন কররেও কোন লাভ হয়নি। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে সফিউল। চাকরি ফিরে পাওয়ার আকুতি নিয়ে বুধবার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সফিউল। এ সময় তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সফিউলের দাবি ব্যারাকের মধ্যে টেপরেকর্ডারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বাজানোর কারণে আনসার ব্যাটালিয়ন থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ২৪ আনসার ব্যাটালিয়ন, রেজিঃ নং-১৬৯২৪, সদর দপ্তর, শিলছড়ি, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটিতে কর্মরত অবস্থায় বিগত ২০০৪ সালের ৩ জুন হতে ২১ জুন পর্যন্ত মোট ১৯ দিনের ছুটিতে বাড়িতে চলে আসে। ছুটিতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সুস্থ্য হয়ে ওই সালের ১৯ আগস্ট কর্মস্থলে যোগদান করেন। এরপর তাকে প্রাপ্ত ছুটি ব্যতিত বিনা অনুমতিতে অতিরিক্ত সময়কাল অনুপস্থিতির কারণ দর্শনোর নোটিশ জারী করেন কর্তৃপক্ষ। সন্তোষজনক জবাব দাখিল করলে কর্তৃপক্ষ একই সালের ২৬ অক্টোবর বিনা বেতনে ৫৮ দিনের ছুটি মঞ্জুর করেন তার। এরপর সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় ব্যারাকে টেপ রেকর্ডারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বাজানোর কারণে ২৪ আনসার ব্যাটালিয়ন, শিলছড়ি, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি ক্যাম্পের অধিনায়ক হিরা মিয়া তার প্রতি রাগান্বিত হন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। সে মোতাবেক ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর একটি চিঠি মারফত (যার স্বারক নং- অপাঃ/ব্যাটাঃ/৬৪০/অঅংগীঃ/২০০৪/২৩৬৩ আনস) শৃঙ্খলা জনিত কারণ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করেন। সফিউল ১৯৯৫ সালের আনসার ব্যাটালিয়ন আইনের ১৬ ধারা মোতাবেক আনসার মহা-পরিচালক বরাবর আপীল করেন। কিন্তু আজও কোন সুরাহা হয়নি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সফিউলের খবর প্রকাশ হলেআনসার সদর দপ্তরের মনিটরিং সেল ভূক্তভোগী গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সফিউল আলমের তথ্য সংগ্রহ করেছে গত দেড় মাস পূর্বে। সফিউল উপজেলার তারাপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে সফিউল।
আনসার সদর দপ্তরের উপ-পরিচালকের (রেকর্ড) সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, তার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তে অনিয়ম প্রমানিত হলে সে চাকরি ফিরে পাবে।