বহু প্রতীক্ষার পর কলারোয়া বাজারের প্রাণ কেন্দ্র বেত্রবতী নদীর উপর নতুন ব্রিজ নির্মাণ কাজের আলোর মুখ দেখতে গিয়ে তা আবার মূর্খ থুবড়ে পড়েছে। এই ব্রিজটি নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে-ভূমি অধিগ্রহন সহ প্রায় ৩০কোটি টাকা। সড়ক ও জনপদ সাতক্ষীরার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নিজাম উদ্দিন জানান-ব্রীজ নির্মাণের কাজ চলছে আড়াই বছরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন-বেত্রবতী নদী খনন কাজে জটিলতা ছিলো সেটি ঠিক হয়েছে। ব্রীজ নির্মাণ কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। অথচ বাস্তবে এখানে কাজের কোন বালাই নেই। ব্রীজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ এর পরিচালনাকারী জানান, কলারোয়া বাজার টু সরসকাটি যওয়ার একমাত্র পথ বেত্রাবতী নদীর উপরে এই ব্রীজটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ব্রীজের মাঝপথ দিয়ে বাস-ট্রাক ও তার দু’পাশ দিয়ে পথচারী চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে। নানা আধুনিকতার ছোয়ায় অলংকৃত করে ব্রিজটি নির্মাণে চলতি বছর থেকে আড়াই বছর সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। ব্রিজের দু’পাশের ব্যবসায়ীরা জানায়, সীমানা নির্ধারণসহ নানা সমস্যায় ব্রীজটির নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের ভূমি অধিগ্রহন হলে এবং সরকারি জায়গা ছেড়ে দিলে হয়তো দ্রুত ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হতো। এই ব্রীজটি দ্রুত নির্মিত না হওয়ায় ঝুকির মধ্যে রয়েছে পথচারীরা। বর্তমানে ব্রীজটির এখন বেহাল অবস্থা। উপজেলার ১০৮টি গ্রামের ৪ লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ ব্রীজ। তাছাড়া পাশ্ববর্তী সাতক্ষীরা সদর ও তালা যশোর জেলার শার্শা মনিরামপুর, কেশবপুর উপজেলারও কয়েক হাজার মানুষ এ ব্রীজটির উপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। ব্রীজটির অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও মালবাহী ট্রাক নিয়ে ঝুঁকির মধ্য দিয়ে পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছে। ঝুকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে পার হতে গিয়ে প্রায় সময় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেত্রবতী নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটির এক পাশের একাংশ ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আর ব্রীজের ছাদসহ চারপাশের প্লাস্টার উঠে লোহার রড বেরিয়ে পড়ে মরিচা ধরে ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। আর এ ঝুকিপূর্ণ ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন ঝ্ুঁকি নিয়ে শত শত ভারী যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। ফলে যেকোন সময় ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়াসহ বিভিন্ন ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রীজের আশপাশের দোকানীরা জানান-কলারোয়া পৌর সদরের এ ব্রীজটি অত্যন্ত জন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ ব্রীজের একপাশে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন এবং অপর পাশে ৬টি ইউনিয়ন অবস্থিত। পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ড ব্রীজের এপার-ওপার মিলে এবং কলারোয়া উপজেলার পৌরসদর ও ১২টি ইউনিয়নের প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম হলো এ ব্রীজটি। তাছাড়া ৬টি ইউনিয়নের মানুষের উপজেলা পরিষদ, ভূমি অফিস, রেজিষ্ট্রি অফিস, থানা পুলিশের অফিস, সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অফিসে যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন হলো এ ব্রীজটি। তাই ব্রীজটি যদি এক্ষনে নতুন ভাবে নির্মিত করা না হয় তাহলে যেকোন মুহুর্তে একটি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়লে উপজেলাবাসীসহ পার্শ্ববর্তী ৫ উপজেলার মানুষ সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে পড়বে।