হোসেনপুর ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনটির সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে বৃক্ষরোপণ করা ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গাছের চারা বিতরণ করেছে। আজ ৩১ জুলাই ( রোববার ) হোসেনপুর বাজারের প্রশিকা অফিসের রাস্তায় ও ব্রম্মপুত্র নদের তীরবর্তী স্থানে বিভিন্ন প্রকারের গাছ রোপণ করে তারা৷ সড়কের পাশে মেহগনি, নিম,অর্জুন, কৃষ্ণচূড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপন করে সংগঠনের সদস্যরা। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও হোসেনপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আশরাফ আহমেদ জানান,একটি দেশের আয়তন এবং জনসংখ্যা অনুসারে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও আমাদের দেশে সরকারি হিসেবে এর পরিমাণ সাড়ে ১৭ শতাংশ যা বেসরকারি হিসেবে ১০ শতাংশেরও কম ৷ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দিনদিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে পরিবেশ। দেশের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। এছাড়াও ব্যাপকহারে আমরা বৃক্ষ নিধন করছি৷ এতে আমাদের বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে কার্বনডাইঅক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। তাছাড়া বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে আমাদেরকে বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করতে হবে। সংগঠনের অন্য এক সদস্য শাহারাজ হোসেন রিয়াদ জানান, আশরাফ স্যার আমাদের কে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করে। স্যারের সাথে সময় পেলেই আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করি৷ সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, আশরাফ আহমেদ একজন বৃক্ষপ্রেমী মানুষ। তিনি অবসরে বিভিন্ন রাস্তা-ঘাটে বৃক্ষরোপণ করে থাকেন। এ ছাড়া তিনি ওষুধি গাছ ও ছোট ছোট উদ্ভিদ রক্ষায় ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ৷ হোসেনপুর ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ মূলত হোসেনপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে কাজ করে আসছে। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে হোসেনপুরের হারিয়ে যাওয়া আঞ্চলিক ভাষা,আগেরকার ব্যবহার্য সামগ্রী ও নানান ইতিহাস সংরক্ষন করে উপজেলাব্যাপী ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়াও তারা হোসেনপুরের ইতিহাস ও সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে নিয়মিত ম্যাগাজিন প্রকাশ করছে৷ তারা এখন পর্যন্ত হারিয়ে যাওয়া প্রায় ১২০ টি আঞ্চলিক শব্দ সংরক্ষণ করে তাদের নিজস্ব ম্যাগাজিনে লিপিবদ্ধ করেছে৷ এই ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস বলেন,আমাদের প্রত্যেকের উচিত বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করা৷ সরকার এ ব্যাপারে অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে৷ হোসেনপুর ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের বৃক্ষরোপণ আমি ফেসবুকে দেখেছি। তাদের সকল কাজ সুস্থ সংস্কৃতি ও বিকাশে অনন্য ভূমিকা রাখছে।