খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের মাগুরখালী নদী হতে দুই শতাধিক অবৈধ বাঁধ-নেট-পাটা অপসারন করা হয়েছে। অপর দিকে আটলিয়া ইউনিয়নে মৎস্য ঘের ও ডিপোতে অভিযান চালানো হয়। সোমবার উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এ ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে এক ব্যক্তিকে ৩ দিনের কারাদ- এবং ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মামুনুর রশীদের এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
এ সময় বাঁধের সহশ্রাধিক বাঁশ, খুঁটি, নেট, চারো ও পাটা কেটে পানিতে বিনষ্ট করা হয়। জব্দকৃত ২০০০ মিটার অবৈধ জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। অভিযান চলাকালীন ঘটনাস্থল হতে নেটপাটা ও বাঁধ নির্মাণের সাথে জড়িত মোঃ হারুন (৫০) নামে একজনকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত আসামীকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। এ সময় অভিযানে উপস্থিত সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো আবুবকর সিদ্দিক।
তিনি বলেন,বার বার নোটিশ করার পরও এদের থামানো যাচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অপর দিকে আটলিয়া ইউনিয়নের চেংমারিতে লাভলু মোড়লের ঘেরে পোল্ট্রি লিটার ব্যবহারের অপরাধে ঘেরের কর্মচারী নূরুল ইসলাম ও ম্যানেজার আব্দুল্লাহ কে হাতেনাতে ধরে মৎস্য খাদ্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০ এর ১২ ধারায় অপরাধে ২০ ধারা মোতাবেক ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের জেল প্রদান করা হয়।
দুপুর ৩ টায় কাঁঠালতলা বাজারে ডিপো মালিক বকুল চন্দ্র জোয়ার্দার (৪৫) কে ডিপোর লাইসেন্স না থাকা ও চিংড়ি ভিজিয়ে রাখার অপরাধে মৎস্য ও মৎস্য পণ্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ৭ ধারা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারা মোতাবেক ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্য করা হয়। ওই ডিপোয় চিংড়ি বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ী স্বপন মন্ডল (৪৫) এর চিংড়ি পরীক্ষা করে পুশকৃত অপদ্রব্য বা জেলী পাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারা মোতাবেক ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযান শেষে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো: আবুবকর সিদ্দিক বলেন, ভোক্তার মুখে নিরাপদ মাছ পৌঁছে দিতে মৎস্য অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।