নীলফামারীর সৈয়দপুরে অনলাইন জুয়া বন্ধে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর এলাকাবাসী গনস্বাক্ষর নিয়ে আবেদন করেছেন। জুয়া বন্ধের প্রতিকার চেয়ে ৭০ জন স্বাক্ষরিত ওই আবেদনটি দেয়া হয় পুলিশ সুপারকে। আবেদনে উল্লেখ করা হয় সৈয়দপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাজীপাড়া,কাজী হাট,পুর্ব পশ্চিম পাটোয়ারী পাড়ার কতিপয় উঠতি বয়সী যুবক সাথে মধ্য বয়সী মিলে খেলছে অনলাইন জুয়া। এদের মধ্যে আবার কেউ কেউ আছেন ওই জুয়ার এজেন্ট। এরা প্রকাশ্য কাজী হাট থেকে টোল্লার মোড় পর্যন্ত দোকান নিয়ে অনেকটা রমরমা অনলাইন জুয়ার আসর বসিয়েছে। ওই জুয়ায় দুই একজন লাভবান হলেও সর্বশান্ত হচ্ছে অনেকেই। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও কাউন্সিলরকে অবহিত করা হলেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। দিন দিন ওই জুয়ায় বাড়ছে খেলোয়ারের সংখ্যা। আর ওই জুয়া চালু থাকায় এলাকায় ঘটছে নানান অপরাধমুলক ঘটনা। জুয়ায় হেরে গিয়ে তারা নেশায় আসক্ত হচ্ছে। নিজ বাসায় সৃষ্টি করছে অশান্তি। তাই এলাকার পরিবেশ রক্ষাসহ জুয়া বন্ধে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এলাকাবাসীর ওই আবেদন।
বিশেষ করে এ জুয়ায় মেতে ওঠেছে এলাকার দিনমজুর,রিক্সা ও ভ্যান চালক,মুদি দোকানদার,রাজমিস্ত্রী এবং উঠতি বয়সী যুবকরা। খেলায় নম্বর লাগানোর সময় লক্ষ্য করা যায় মনে হয় ঈদের কেনাকাটা চলছে। কেন ভাবেই এদেরকে দমন করা যাচ্ছে না।
জুয়ার সাথে জড়িত এজেন্ট হলেন ওয়াসিম ওরফে লালপড়া,মহসিন,রওশন। সকলের পিতা মৃত হোসেন আলি। মঞ্জুর আলম ওরফে চেমা ও সুর্য আলম। উভয়ের পিতা বাবুল হোসেন। কাইয়ুম ও কাওসার পিতা কাশেম আলি। সুজন পিতা ইদ্রিস। রাকিব পিতা মান্নান। জুয়েল পিতা মৃত জব্বার। আবু তাহের পিতা বাবুল। আবদুস সালাম পিতা অজ্ঞাত। শামসুল পিতা ইয়াকুব। মনির পিতা আফজাল।
এদের প্রত্যেকের রয়েছে দোকান। আর এদের দোকানেই চলে জুয়ার ভীড়।
অনুলিপি দেয়া হয় প্রশাসক জেলা পরিষদ নীলফামারী। কোম্পানি কমান্ডার র্যাব- ১৩ নীলফামারী। চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ সৈয়দপুর। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দপুর। মেয়র সৈয়দপুর পৌরসভা ও অফিসার ইনচার্জ সৈয়দপুর থানা।
এলাকার আবদুস সামাদ,কাজী সেলিম,শফিকুল ইসলাম,শরিফুল ইসলাম,রেজাউল জানান,এ জুয়া বন্ধ না হলে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংশ হয়ে যাবে। অনেকের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারে ঘটছে ছোট খাটো চুরির ঘটনা।