ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধায় পৃর্ব শত্রুতাও আধিপত্য বিস্তার করা কে কেন্দ্র করে অওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর এবং মালামাল লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সংঘর্ষে উভয় গ্রুপে ১৫ জন আহত হয়েছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে বর্তমান চেয়ার ম্যান শফিকুল ইসলাম শিমুলের সাথে একই গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলামের সাথে বিরোধ চলে আসছে। তার জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সমর্থকরা ঢাল, সড়কি, রামদা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সোবাহান আলী, মোঃ খলিল,মাজেদ আলী, সোহাগ, রয়েল, আশরাফ, রাব্বী ,হাতেম ও সহিদ মিয়া সহ উভয়গ্রুপের ১৫ জন গুরুত্বর ভাবে আহত হয়। আহত ব্যক্তিদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্য সোবাহান ও খলিলকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফাড করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১০ টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ছেলে রাজিব বাহাদুর জানান, পাশর্^বতী ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কামারিয়া গ্রামের সংখ্যালঘুদের উপর শিমুলের লোকেরা হামলা করেছিল সেই হামলায় তারসমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় আমাদের উপর পরিকল্পিত ভাবে তারা হামলা করে ও বাড়িঘর ভাংচুর করে। বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শিমুল জানান নজরুল ইসলামের সমর্থকরা বগুড়া পশ্চিম পাড়া আমার সমর্থকদের উপর হামলা করায় এই সংঘর্ষ হয়। এ ছাড়াও শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের উপ নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তার কর্মী সমর্থকদের আনারস মার্কার ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেয় সেই অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়ে গেলে তার সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে এই হামলা করে। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বগুড়া গ্রামের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ থামাতে প্রায় ১০টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখনও থানায় কোন মামলা হয়নি।