পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে অসহায় রিক্সা চালককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দফাদার বেলায়েত হাওলাদারের বিরুদ্ধে। আহত আকাব্বর হোসেন (৬৫) উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের গাবগাছিয়া গ্রামের ডাক্তার বাড়ির মৃত মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
বুধবার রাত ১১ টার দিকে দফাদার বেলায়েত হাওলাদারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার ইসমাইল চৌকিদারের সেজো ছেলে দফাদার বেলায়েত হাওলাদার (৫৫), শাজাহান গাজীর ছেলে মিজান গাজী (৩৫), ইসমাইল চৌকিদারের আরেক ছেলে তাইজুল হাওলাদার (৩৫)
স্থানীয় ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আহত আকাব্বর হোসেন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এছাড়াও তিনি রাতে কোচ নিয়ে মাছ শিকারে বের হতেন। বুধবার রাতে রিক্সা চালানো শেষ করে, মাছ শিকার করে বাড়ি ফেরার পথে দফাদার বেলায়েত হাওলাদার, তার ভাই তাইজুল হাওলাদার ও মিজান গাজীকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে গুরুতর ভাবে আহত করে আলী আকাব্বরকে। পরে আহত অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে সে তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত আলী আকাব্বর হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, দফাদার বেলায়েতের কাছে আমি পুরানো রিক্সা ভাড়া পাই। ভাড়া চাইছিলাম তাই সে আমাকে পিটিয়ে ফেলে রেখে গেছে?
পত্তাশী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কবির শিকদার জানান, তাকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনার পরে আমার কাছে রাতে ফোন আসে। পরে আমি সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত দফাদার বেলায়েত হাওলাদার জানান, তার ব্যাগে বিদেশি ৩/৪টা টর্চ লাইট পাওয়া গেছে তাকে চোর সন্দেহে মারধর করা হয়েছে। পরে ইউপি সদস্য কবির শিকদারকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি আকাব্বরকে হাসপাতালে নিয়ে যান। রিকশা ভাড়া নিয়ে কোন বিষয় নাই, এই তথ্যটি সঠিক না।
এ বিষয়ে পত্তাশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার জানান, এলাকার চুরি রোধ করতে ইউপি সদস্যকে বলেছিলাম থানার সাথে কথা বলে পাহারা বসাতে। এখন পর্যন্ত থানা থেকে কোন পাহারার অনুমোদন দেয়নি। তবে শুনেছি রাতে এলাকাবাসী একজনকে অন্ধকারে দেখতে পেয়ে মারধর করে। পরে দফাদার গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে তাকে একটু মারধর করেছে। ভুক্তভোগী আমার কাছে আসেনি। ইউপি সদস্যের মাধ্যমে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি। আশা করি বিষয়টির দ্রুত সমাধান করতে পারব।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক জানান, ঘটনার পরে আহত ব্যাক্তি থানায় এসে বিষয়টি জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।