খুলনার পাইকগাছার লস্কর ও সোলাদানা ইউনিয়নের সিমান্তে গড়ে উঠা হাটের নের্তৃত্ব নিয়ে দ্বন্ধের অবসান। সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে হাটের জায়গা ভরাট করলো স্থানীয়রা। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জনসাধারনের মধ্যে উত্তেজনা চলছিলো। গত বুধবার বিকালে লস্কর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইউনিয়নবাসির সাথে সভা করে খাস জমিতে হাট সরিয়ে নেয়ার সিন্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার সকালে চেয়ারম্যানের নের্তৃত্বে ইউনিয়নবাসী সেচ্ছাশ্রমে এ হাটের জায়গায় মাটি দিয়ে ভরাট করার কাজ শুরু করেন। লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, হাটের নাম লস্কর চৌকিদার মোড় হাট। আমাদের পূর্ব পুরুষরা এ হাট তৈরী করেছিলেন। সেই সুবাদে আমরা লস্কর চৌকিদার মোড়ে হাট পরিচালনা করে আসছি। লস্কর ও সোলাদানা ইউনিয়নের সিমান্তে হাটটি হওয়ায় সোলাদানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় কিছু মানুষ হাটের এক অংশ দাবী করে আসছিলো। কিন্তু আমি কয়েকদিন ধরে আমিন দিয়ে জরিপ করে আমাদের ইউনিয়নের সিমান্ত নির্ধারণ করে খাস জমিতে হাটটি স্থান্তর করার জন্য ইউনিয়নবাসিকে নিয়ে সেচ্ছাশ্রমে কাজ করছি। সোলাদানা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান গাজী জানান, আমি বিতর্কে জড়াতে চাইনা। এতদিন আমরা লস্কর ও সোলাদানা ইউনিয়নের মানুষ ওই হাটে একসঙ্গে বাজার করতাম। কিন্তু লস্কর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেই হাটটি সরিয়ে তাদের সিমানায় নিয়েছে। এটি তিনি ঠিক করেনি। হাট জনগণের সবাই হাটে বাজার করতে যাবে এটাই সত্য। কিন্তু হাটটি বিভক্ত করার ফলে জনসাধারণের মধ্যে বিভেদ দেখা দিয়েছে।