অবশেষে মাত্র দু’দিনের মধ্যে আটক হয়েছে খুলনার কপিলমুনি বধ্যভূমি স্মৃতি সৌধে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচিত সিরিজ পকেটমার। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে খুলনার রূপসা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। সর্বশেষ তাকে পাইকগাছায় নেয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ২ আগস্ট বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী স্যার পিসিরায়ের ১৬১তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সরকারের সংষ্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ (এমপি) কপিলমুনি বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেন। এ সময় অতিরিক্ত ভীঁড়ের চাপে ব্যাপক ম্যারাথন পকেটমারীর ঘটনা ঘটে। বিষয়টি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এ সময় বিখ্যাত এক চোর অতিথিবৃন্দের মধ্যে প্রবেশ করে সাংবাদিক সহ আ.লীগ নেতার পকেট মারেন। সাংবাদিকদের ক্যামেরায় এ দৃশ্য ধরা পড়ে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ নিশ্চিত করেছে এ ছবি দেখে চোরকে গ্রেফতার করেছে রূপসা থানা পুলিশ। পকেটমার চক্রের সদস্যরা কপিলমুনি ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি যুগোল কিশোর দের পাঞ্জাবির পকেট থেকে ১৮শ', সাংবাদিক তপন পালের প্যান্টের পকেট থেকে ৫ হাজার, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দারের ৯ হাজার টাকা, কপিলমুনি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক রাজুর পকেট থেকে একটি নোকিয়া ব্যান্ডর মোবাইল (বাটন), সাংবাদিক একে আজাদের পকেট থেকে ৮ হাজার টাকা, উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি ও পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ কুমার সাধুর একটি মোবাইলসহ উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের পকেট মারা হয়। পাইকগাছা থানা ওসি মো. জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, ক্যামেরায় ছবি সনাক্ত করে দীর্ঘ অনুসন্ধানে সনাক্ত করে এ চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।