চট্টগৈামের হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিমে আলমপুর ও আদর্শগ্রাম এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মানে নিন্মমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। এই কারণে নির্মাণাধীন ঘরের দেওয়াল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ঘরের দেওয়াল দেওয়াল ভাংচুরের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় নানামূখী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তাই নির্মাণধীন ঘরের কাজ গত বুধবার সন্ধ্যায় বন্ধ রেখে নির্মাণ শ্রমিকদের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ইউ এন ও এর সাথে কথা বলে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম। কিছু অন লাইন গণমাধ্যমে চাঁদা না পেয়ে ঘর ভাংচুরের সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এবিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউ এন ও স্হানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বিকালে মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন তিনি গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে পৌরসভার পশ্চিমে স্হাপিত সরকারি দুগ্ধ ও ছাগল খামার পরিদর্শনে যান। সরকারি এই খামার দুইটি পরিদর্শন করে তিনি তাঁর সাথে থাকা যুবলীগ কর্মীদের নিয়ে একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন খামার পরিদর্শন করেন। সেই ব্যক্তি মালিকানাধীন খামারের পাশে প্রধান মন্ত্রীর আশ্রয়ান প্রকল্পের নির্মাণাধীন ঘর পরিদর্শনের যান। সেখানে গিয়ে ঘর নির্মানে নিন্মমানের কাজ দেখে নির্মাণ শ্রমিকদের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ইউ এন ও সাথে কথা বলে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। পরে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। তিনি চলে আসার পর স্হানীয় এক যুব কর্মী কাজের মান নিয়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এই যুবলীগ কর্মী কথিত নির্মান শ্রমিককে শারিরীক ভাবে নাজেহাল করেন।পরিমান মত সিমেন্ট মিশ্রন না করায় নির্মাণাধীন ঘরের কিছু পাকা দেওয়াল ভেঙে ফেলে এই যুবলীগ কর্মী। সংবাদ পেয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেওয়ালের ভাঙা অংশ দেখতে পায় বলে তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের জানান।
বৃহস্পতিবার গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভায় কাজের মান ভালো না হওয়ায় আশ্রয়ান প্রকল্পের ঘরের দেওয়াল ভাংচুরের কথা শিকার করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গনমাধ্যম কর্মীদের নিকট এই অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে চাঁদা দাবীর বিষয়টি অমুক বলে তিনি উল্লেখ করেন। সভা শেষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউ এন ও,ও বিভিন্ন ইউ পি চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ আশ্রয়ান প্রকল্পের নির্মাণাধীন ঘরের স্হান পরিদর্শন করেন। সেখানে নির্মাণ শ্রমিকেরা ও যুবলীগ নেতার চাঁদা দাবীর কথা অস্বীকার করেন। তবে এক যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান নামে এক শ্রমিককে শারীরিক ভাবে নাজেহাল করেছে বলে জানালে আনোয়ার মেহেদী নামে এই যুবলীগ নেতা কথিত নির্মান শ্রমিকের কাছে সেদিনের অনাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য উপস্থিত সকালের সামনে দুঃখ প্রকাশ করেন।