খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে আলোচিত পকেটমার কারাগারে। সাংবাদিকদের ধারণকৃত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে জেলার রূপসা থানা জনগণ আটক করে পুলিশে দেয়। ধৃত পকেটমারের বাড়ি রূপসা উপজেলার নৈহাটি গ্রামে মৃত জজ আলীর ছেলে ইসাহাক সরদার (৫৬)। রূপসা থানা থেকে পাইকগাছা থানা পুলিশের হেফাজতে নেয়। এঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী তপন কুমার পাল বাদী হয়ে থানায় শুক্রবার সকালে নিয়োমিত মামলা করেন। ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলাম জানান, ধৃত পকেটমার ইসহাক সরদার আরো ৪জন পকেটমারের নাম বলেছে। তারা হলেন ইসরাইল, বিল্লাল, বাদল ও মোস্ত। তাদের নাম ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য ধৃত পকেটমার ইসহাক ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ গত ২ আগস্ট বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী স্যার পিসিরায়ের ১৬১তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সংষ্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ (এমপি) কপিলমুনি বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেন। এ সময় অতিরিক্ত ভীঁড়ের চাপে সিরিজ পকেটমারের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পকেটমারকে গ্রেফতারে পুলিশ মরিয়া হয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, এদিন সকালে মন্ত্রী কপিলমুনি বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শহিদদের স্মৃতিরপ্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তার সাথে ছিলেন, এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু, কপিলমুনি ও লতা ইউপি চেয়ারম্যান, থানা অফিসার ইনচার্জসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, দলীয় নের্তৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সকলে যখন কর্মসূচীপালনে ব্যাস্ত ঠিক তখন, পকেটমার মন্ত্রীর পাশে থাকা স্থানীয় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন জনের পকেট কাটতে ব্যাস্ত ছিলো। বিষয়টি তাৎক্ষণিক কারো দৃষ্টিগোচর না হলেও পরে পকেটমারির খবরে সাংবাদিকদের তোলা একাধিক ছবিতে দেখা যায়। সুকৌঁশলে মুখে মাস্ক লাগিয়ে মধ্য বয়স্ক পকেটমার আ.লীগ নেতা যুগোল কিশোর দে’র পাঞ্জাবির পকেট থেকে টাকা উঠিয়ে নিচ্ছে। সর্বশেষ ঘটনার মাত্র ২ দিনের মধ্যে জনগণ পকেটমারকে রূপসা ফেরীঘাট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশে দেয়। থানা ওসি জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পকেটমার ইসহাককে রূপসা ফেরীঘাট থেকে আটক করা হয়।