বাগেরহাটের মোল্লাহাটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াস ব্লকে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ঘন্টাধিক কাল তালাবদ্ধ রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই বিদ্যালয়ের দফতরী কাম প্রহরী সবুর মুন্সির বিরুদ্ধে। উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের ১৫ নং শোলাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভিকটিম শিশুটির পিতা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভিকটিম শিশু ছাত্রীর পিতা আরিফুল ইসলাম জানান, তার মেয়ে সাফুরা খানম ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী, মঙ্গলবার ৩ টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সে ওয়াশ ব্লকে যায়, এ সময় ওই ওয়াশ ব্লকের ক্লপ্সবল গেটে তালা লাগিয়ে দেয় ওই বিদ্যালয়ের দফতরী কাম প্রহরী সবুর মুন্সি। এরপর তার মেয়ে চিৎকার এবং কান্না করার পরও তাকে দীর্ঘ এক ঘন্টা বিশ মিনিট তালা বন্ধী রাখে। ওই সময়ে ভয়ে তার শিশু মেয়ের দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। এক পর্যায়ে সহ-শিক্ষার্থীরা দেখে ফেলে এবং তারা ছেড়ে দিতে বলে। তখন তাদের ধমক দিয়ে পরে তালা তালা খুলে দেয় সবুর মুন্সি। আরিফুল ইসলাম আরো বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা নাকি অপহরণের উদ্দেশ্যে এভাবে বন্ধী রাখছিল ? এর যথাযথ তদন্ত পূর্বক যদি আরো কেউ জড়িত থাকে তাদেরও বিচার করতে হবে।
উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপাল ওঝা বলেন, দপ্তরী কাম প্রহরী সবুর আলী কর্তৃক তালা বদ্ধ করার ঘটনা সঠিক কিন্তু সময় হয়তো ৪ মিনিট হতে পারে।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা মন্ডল জানান, তিনি ওই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গিয়েছিলেন, ওই মেয়েটি আজ (বুধবার) স্কুলে আসেনি, যে কারণে তার বক্তব্য নিতে পারেননি, এ ছাড়া এক পক্ষের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, তালা লাগিয়ে দিয়েছিল দপ্তরী, এটা হয়তো রাগ করে বা বেখেয়ালে হতে পারে। ছোট বাচ্চা তাই ভয়ে ৩/৪ মিনিট তালা বদ্ধ থাকা তার কাছে এক ঘন্টার অধিক সময় মনে হয়েছে।
এবিষয়ে দফতরীকাম প্রহর সবুর আলী মুন্সী বলেন, ওই মেয়ে বাথরুমে যেতে চাইলে তাকে শিক্ষকদের বাথরুমে যেতে বলি, সে তার কথা না শুনে তাদের (শিক্ষার্থীদের) বাথরুমে যেতে চায়, পরে তাদের বাথরুমের তালা খুলে দিই, এরপর মেয়েটি বাথরুমে গেলে খেয়াল না থাকায় তালা বন্ধ করে দিই। এরপর বেশি হলে ৫ মিনিট পর অন্য দুই জন ছাত্রী তাকে বলায় তালা খুলে দিই। এতে কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছিলনা বলেও জানান তিনি।