চট্টগ্রাম- হাটহাজারী মহাসড়কের চৌধুরীহাট বাজারে যানজটে অতিষ্ঠ চলাচলকারী যাত্রীরা। আটকে থাকার কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। যাত্রীদের অভিযোগ সড়কের ওপর মালামাল রাখা, ফুটপাত দখল ও যাত্রী ওঠা-নামা করতে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার কারণে যানজট লেগে থাকে। অথচ সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) চার ফুটের বেশি জায়গা অবৈধ দখলে রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে চৌধুরীহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কের ওপর রয়েছে দোকানগুলোর মালামাল। ফুটপাত দখল করায় লোকজনও ঝুঁকি নিয়ে সড়কের ওপর দিয়ে হাঁটা চলা করছে। এর সঙ্গে যোগ হয় সিএনজি অটোরিকশা, বাস ও মিনি বাস (হিউম্যান হলার) গুলো মহাসড়কের উপর দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে। সড়কে তখন আর জায়গা নেই। এ অবস্থায় শহর থেকে আসা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও নাজিরহাটগামী গাড়িগুলো যাওয়ার জায়গা না থাকায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে। কখনো উচ্চ স্বরে হর্ন আবার কখনো পরিবহন শ্রমিকদের বাগ্বিত-া লেগে আছে। দু-একটি গাড়ি যেতে পারলেও আবার লেগে যায় যানজট।
এ সড়কে প্রতিদিন যাতায়াতকারী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত গিয়াস উদ্দিন বলেন, চৌধুরীহাটে যানজটে আটকা না পড়ে কখনো শহর থেকে বাড়ি ফিরতে পারেননি। একই বক্তব্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুমানা আক্তারের।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ চৌধুরীহাটে সড়কের পশ্চিম পাশে যে স্থানে ঘন ঘন যানজট হয় সেখানে সওজ এর প্রায় চার ফুট জায়গা অবৈধ দখলে রয়েছে। দখলদারদের কবল থেকে এটি উদ্ধার করলে সড়কের পাশে জায়গায় লোকজন হাঁটাচলা করতে পারতেন। পাশাপাশি কিছু গাড়ি যাত্রী তুললেও দূরের গন্তব্যের গাড়িগুলো যানজটে আটকা না পড়ে দ্রুত চলে যেতে পারে।
জানতে চাইলে সওজ হাটহাজারীর সহকারী প্রকৌশলী মো. এহসান বলেন, তারা অভিযান চালানোর পর কিছু সময় ঠিক থাকে। পরে আবার মালামাল রেখে কিংবা অস্থায়ী দোকান বসিয়ে রাখা হয়। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সড়কের ওপর বসা দোকানগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে জানান হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম। তিনি বলেন, সওজ জায়গাগুলো উদ্ধার করা হবে।