বাগেরহাটের মোল্লাহাটে সরসপুর গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রী (২সন্তানের মা)'কে বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘ দুই বছর ধরে ধর্ষন ও দশ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে (২ সন্তানের পিতা) ইমরান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিয়ের দাবিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করছেন প্রবাসীর স্ত্রী। এর প্রায় ২১ দিন পূর্বে গত ১৫/০৭/২২ তারিখ রাতে প্রবাসীর ঘরে হাতে নাতে ধরা পড়েন এবং শারীরিক মারপিটের শিকার হন ইমরান ও প্রবাসীর স্ত্রী।
এবিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী জানান, দীর্ঘ দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ও বিয়ের প্রলোভনে ইমরান তাকে ধর্ষণ করেছে। একই সাথে তার থেকে দশ লক্ষ টাকা নিয়েছে। গত ১৫ জুলাই রাতে তার স্বামীর বাড়িতে/ঘরে অন্যান্য সময়ের মতোই ইমরান আসে এবং যথারিতী তাদের মেলা মেশা হয়। বিষয়টি তার দেবর ও শশুর বুঝতে পারে এবং আশপাশের লোকজন ডেকে একঘরে থাকা অবস্থায় ধরে ফেলে। এ সময় তাদের দুই জনকেই মারধর করা হয়।
প্রবাসীর স্ত্রী আরো বলেন, তখন তিনি দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে ইমরানের সঙ্গে বিয়ের দাবিতে অটল ছিলেন। তখন স্থানীয় মাতব্বর জলিল, দিন ইসলাম, ইউপি সদস্য আকাশ ও ইউপি সদস্য সবুর সহ কয়েকজন দায়িত্ব নিয়ে বলেন, তোমরা ডাক্তার দেখিয়ে সুস্থ হও। এরপর আমরা সঠিক ফয়সালা দেবো। এমনকি আইনের আশ্রয় নেয়ারও প্রয়োজন নেই বলে আশস্ত করেন তারা। এরপর আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কৌশলে আমাকে আমার মায়ের কাছে দিয়ে বলেন, দুই একদিনের মধ্যেই সুন্দর সঠিক খুশি হওয়ার মত ফয়সালা পাবা। এরপর থেকে মাতব্বর জলিলের সাথে বহুবার মোবাইলে যোগাযোগ করলেও তিনি আজকাল করে কালক্ষেপণ করেন। এরপর নিরুপায় হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইমরানের বাড়িতে উঠেছি। তবে, ইমরানের বর্তমান স্ত্রী তাকে বারবার ধাক্কা মেরে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে বলেও জানান তিনি। সংশ্লিষ্ট মাতব্বররা কৌশলে কালক্ষেপণের মাধ্যমে তাকে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করে এখন এড়ানোর চেষ্টা করছে।
তিনি এর সুষ্ঠু ফয়সালা না পাওয়া পর্যন্ত থামবেন না বলেও জানান।
ইমরানকে বাড়িতে না পাওয়ায় তার বর্তমান স্ত্রী রাবেয়া জানান, তিনি প্রথমে দশ লক্ষ ও পরে দশ লক্ষ মোট বিশ লক্ষ টাকা দিয়ে স্বামীর সংসার করে চলেছেন। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। ওই মহিলা (প্রবাসীর স্ত্রী)'র সঙ্গে তার স্বামীকে একদিন হাসাহাসি করতে দেখেছেন এবং তার কারণ জানতে চাইলে স্বামী ইমরান তাকে বলেছেন যে, এমন আর হবে না। এরপর কয়েকদিন আগে (১৫ জুলাই) সন্ধা ৯টার দিকে (রাতে) প্রবাসীর স্ত্রী আমার স্বামীকে মোবাইল করে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আমার স্বামীকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে মারপিট করে। এসকল কথা তিনি তার স্বামীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন।
ওয়ার্ড সদস্য সবুর ও আকাশ জানান, গত ১৫ জুলাই রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে একঘরে হাতে নাতে ধরা পড়ে ইমরান। এরপর মিমাংসার কথা বলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। আজ (শুক্রবার) ইমরানের বাড়িতে উঠেছে প্রবাসীর স্ত্রী। বিষয়টি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মিমাংসা করা হবে বলেও জানান তারা।