টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে পূর্ণিমা সূত্রধর (১৮) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনাটি।
গৃহবধুর স্বামী ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও পূর্ণিমার বাবার দাবি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকা-।
জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার কোষনা গ্রামের মনোরঞ্জন সূত্রধরের মেয়ে পূর্ণিমার সূত্রধরের
ছয় মাস পূর্বে বিয়ে হয় দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের ছানু সূত্রধরের ছেলে নিলয় সূত্রধরে সাথে। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে স্বামী নিলয় পূর্ণিমাকে নির্যাতন করতো। ঘটনার তিন দিন আগেও স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে এই গৃহবধূ বাবার বাড়ি চলে যায়। গত শুক্রবার স্বামী নিলয় তার স্ত্রীকে নিজ বাড়ি পিরোজপুরে নিয়ে আসে। শনিবার সন্ধ্যায় গলায় শাড়ি কাপড় পেচানো অবস্থায় ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পূর্ণিমার বাবা মনোরঞ্জন সূত্রধর বলেন, ঘটনার তিন দিন আগে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে পূর্ণিমা আমার বাড়ি চলে আসে। শুক্রবার স্বামী নিলয় এসে পূর্ণিমাকে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়, যাওয়ার সময় পূর্ণিমা বারবার বলছিল "বাবা আমাকে ওখানে পাঠাইও না" পরে আমি মেয়েকে বুঝিয়ে স্বামীর বাড়িতে পাঠাই।
নিলয় ও তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়ের গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের ভিতর ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
দেলদুয়ার থানার উপপরিদর্শক মোঃ মামুন মিয়া বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় শাড়ি কাপড় দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই গৃহবধূর বাবা ঘটনাটি হত্যাকা- বলে দাবি করেছেন। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। রোববার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বুঝা যাবে ঘটনাটি হত্যা? না, আত্মহত্যা?