রূপসায় এক মুখ ও শারীরিক প্রতিবন্ধী নারীর সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নের শহিদ মিনার রোডস্থ মাস্টার পাড়া এলাকার মৃত আবু তালেব শেখের পুত্র মো. আবু বক্কার শেখ ওই জমি দখল করে নিয়েছে। জমি দখলের পর সেখানে ঘর তৈরি করে একটি পরিবারকে বসিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীর মামা মো. দেলোয়ার হোসেন গত ৪ আগস্ট বাদী হয়ে জমি উদ্ধারের দাবিতে রূপসা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন উল্লেখ করেছেন, আমার প্রতিবন্ধী ভাগ্নী লিজা আক্তারের নামে আমার ভগ্নিপতি হাফিজ উদ্দিন খান ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এ ছাড়া আমার ও ভগ্নিপতির নামে একই দাগে ১০ শতক ক্রয়কৃত জমি রয়েছে। আমার বোনের মৃত্যুর পর ভগ্নিপতি হাফিজ উদ্দিন বর্তমানে প্রতিবন্ধী ভাগ্নীকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছেন। সেও বর্তমানে শয্যাশায়ী।
এমতাবস্থায় ওই জমির উপর লোলুভ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় আবু বক্কারের। সে ওই জমির ভূয়া ও জাল জালিয়াতি কাগজপত্র তৈরি করে আমার ও আমার পরিবারের লোকজনকে ওই জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে গত ২ আগস্ট বিকেলে আবু বক্কার শেখ ও মো. আশাবুল ইসলাম সহ অজ্ঞাত লোকজন ধারালো দা, কুড়াল ও লাঠিশোঠা নিয়ে ওই জমিতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ওই সময় ওই জমি ঘেরা-বেড়া দিয়ে নেয়। এ অবস্থায় আমিও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য প্রতিবন্ধী লিজা আক্তার আমার পালিত ভাগ্নী।
আমার বোন এলাচি বেগম নি:সন্তান হওয়ায় লিজাকে দত্তক হিসেবে গ্রহন করে বড় করেছেন। তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে লিজার নামে ওই সম্পত্তি ক্রয় করা হয়।
স্বরেজমিন স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন যাবত তার প্রতিবন্ধী ভাগ্নী ও বোনের জমি দেখাশোনা ও ভোগদখল করে আসছেন।
তবে সম্প্রতি আবু বক্কার শেখ ওই জমি দখল করে ঘেরা-বেড়া দিয়ে একটি ঘর তৈরি করে ভাড়াটিয়া বসিয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ আবু বক্কার শেখ জানান, ওই জমি দেলোয়ারের নয়, হাফিজ উদ্দিনের পালিত কন্য লিজা আক্তারের নামে ক্রয় করা। হাফিজ উদ্দিন তার দেখভাল ও ভরণপোষণ চালিয়ে আসছে। ওই জমিতে দেলোয়ারের কোন অধিকার নেই। পালিত কন্য হিসেবে হাফিজ উদ্দিনই ওই জমির মালিক। তার কাছ থেকে নোটারী পাবলিকে আমমুক্তার নামা ও বায়না পত্র মুলে বর্তমানে আমি ওই সম্পত্তির মালিক। যেকারণে আমি অন্য একজনের কাছে ২ শতাংশ জমি হস্তান্তর করেছি। মুখ ও শারীরিক প্রতিবন্ধীর জমি আদালতের আদেশ ছাড়া হস্তান্তর করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।