যশোরের কেশবপুরে জমি দখলে বাধা দেয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ নালী পুরুষ আহত হয়েছে। আহতরা কেশবপুর উপজেরা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ ঘঁনায় কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়নের বগা গ্রামের বিষ্ণুপদ চৌধুরীর ছেলে গৌতম কুমার চৌধুরী বাড়ি থেকে চলে গিয়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে। ৩০ বছর পূর্বে তিনি মুসলমান ধর্ম গ্রহন করে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানা এলাকায় সুমা চৌধুরী নামে একটি মেয়েকে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করে। গৌতম দীর্ঘদিন বাড়িতে না আসায় পিতা বিষ্ণুপদ চৌধুরী টাকার প্রয়োজনে দুই মেয়ে ঝরনা রায় ও চন্দনা চৌধুরীর কাছে ৪০ শতক জমি বিক্রি করে দেয়। পরবর্তীতে ঝরনা রায় আরো ৩ শতক জমি ক্রয় করেন। সম্প্রতি বিষ্ণুপদ চৌধুরী মারা যাওয়ার পর গৌতম চৌধুরী বাড়িতে এসে পিতার সম্পত্তি দখলের হুমকি দেয়। তারই ধারাবহিকতায় শনিবার বিকেলে গৌতম চৌধুরীর নেতৃত্বে, সুমা চৌধুরী ও শংকর চৌধুরীসহ একদল ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর করে দখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় দখলে বাধা দেয়ায় মা বিজলী বালা, বোন ঝরনা রায় ও চন্দনা চৌধুরী এবং ভাগ্নে জয় রায় ও জিৎ রায়কে মারপিট করে আহত করে। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ বিষয়ে ঝরনা রায়ের স্বামী বিমল রায় কেশবপুর থানায় শনিবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ দিকে থানায় অভিযোগের খবর পেয়ে গৌতম রায় অভিযোগকারি বিমল রায়কে ভিটা ছাড়া করার হুৃমকী দিচ্ছে।