জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে দেশের পুর্বাঞ্চলীয় সবচেয়ে বড় ধানের মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চলছে অনিদিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন চলছে।এতে দ্বিতীয় দিনেও ধান পরিবহন করতে না পারায় চাতালকলে ধান ক্রাশিং বন্ধ রয়েছে।এতে চাতালমালিকরা বিপাকে পড়েছেন।
পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের ধর্মঘটের কারণে গত দুই দিন ধরে মোকাম থেকে বন্ধ রয়েছে ধান বেচা কেনা ও বন্ধ রয়েছে ট্রাকে ধান সরবরাহ। ট্রাকে ধান সরবরাহ বন্ধ থাকায় উপজেলার অন্তত তিন শতাধিক চাতালকলের উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। দ্রুত ট্রাকে পণ্য পরিবহন শুরু না হলে চালের বাজারে অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা করছে মিল মালিকরা।
আশুগঞ্জ উপজেলা চাল কল মালিক সমিতির সভাপতি হাজী যোবায়ের হাদার বুলু জানান, জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ট্রাক মালিকরা অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছেন। বৃদ্ধির হারও অনেক বেশি। তাদের দাবি মানা হলে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়বেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল সরকার জানান, জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে চাতাল মালিকদের ভাড়া বৃদ্ধি করতে বলেছি। তবে দ্রুত এই ভাড়া বৃদ্ধি না হলে আমরা পরিবহন বন্ধ রাখবো। বিষয়টি সমাধান না হলে আমাদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন হওয়ায় আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাসের সাথে আমরা বিকালে আেিলাচনা করে ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করব।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন,রোববার বিকালে ধান ব্যবসায়ী এবং ট্রাক-মালিক সমিতি এবং ট্রাক শ্রমিক সমিতির নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভা আছে। ঐ সভায় আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানে পৌছাতে পারব।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চলে উৎপাদিত ধান বেচাকেনা হয় আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত দেশের সবচেয়ে বড় ধানের হাট বিওসি ঘাটে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার শতাধিক চালকলে ধানের যোগান দেয় এই মোকাম। প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার মন মণ ধান বিক্রি হয় এই হাটে। হাট থেকে ধান ক্রয় করে ট্রাকে ধান নিয়ে চাতালকলে পক্রিয়াজাত করে চাউলে রূপান্তর করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা,নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে এসব এলাকার চাউলের চাহিদা পুরণ করে।