খনি শ্রমিকরা করোনায় আক্রান্তের কারণে ১০ দিন কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভূগর্ভ থেকে আংশিক কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে। গত শনিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত মাত্র একটি শিফটে ৭১৫ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে।
খনি সূত্রে জানা যায়, বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখার স্বার্থে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের দেশিয় চীনা শ্রমিক দিয়ে এক শিফটে কয়লা উত্তোলন শুরু করেছে। যদিও চীনাদের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ রয়েছে। গত শনিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খনির ভূগর্ভ থেকে ৭১৫ দশমিক ৪৯৩ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানের পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিদিন ডে শিফট চালু রেখে কয়লা উত্তোলন করা হবে। তবে পুরোদমে কয়লা উত্তোলনে যেতে অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
এদিকে খনির ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলন কাজে নিয়োজিত হওয়ার জন্য দেশি শ্রমিকরা করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে গত রোববার (৭ আগস্ট) থেকে খনির অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন। খনির অভ্যন্তরে প্রবেশকারি শ্রমিকদেরকে কোয়ারেন্টাইন সময় অতিবাহিত করে কাজে যোগ দিতে হবে।
অপরদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের ৫০ জন চীনা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দেশি শ্রমিকসহ মোট ৮৩ জন খনিশ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় গত ২৯ জুলাই থেকে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
কয়লাখনি থেকে আংশিক কয়লা উত্তোলন শুরু করা গেছে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন খনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলা সরকার।
উল্লেখ্য ফেজ পরিবর্তনের কারণে দীর্ঘ প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৭ জুলাই বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির নতুন কূপে পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। এর মধ্যেই জুলাই মাসের শেষে খনিতে কর্মরত অর্ধশতাধিক চীনা ও বাংলাদেশি শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ঠেকাতে খনি কর্তৃপক্ষ উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করেন।