খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি প্রতিমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে গণহারে পকেটকাটার জের কাটতে না কাটতে দোকান-বাড়িতে চুরি নিত্য ব্যাপার হয়েছে। স্থানীয়রা আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি বলে উল্লেখ করছেন। ২ আগস্ট গণহারে পকেটকাটার পর মাত্র ৫ দিনের ব্যাবধানে সোমবার রাতে কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ শামসুল আলম পিন্টুর বাড়িতে দুর্র্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। গভীররাতে কোন একসময় সংঘবদ্ধ চোর সভাপতির উপজেলার নাছিরপুরস্থ মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোড়ল আবদুস সালামের বাড়ির পার্শ্বে নেতু সরদারের ভাড়াবাড়ি ঢুকে পানি তোলা মোটরপাম্প ও কবুতর সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। এ সময় সাংবাদিক পিন্টু স্ব-স্ত্রী চিকিৎসার জন্য খুলনায় অবস্থান করছিলেন। সেই সুযোগে চুরি সংঘটিত হয়। এদিকে স্থানীয় রেজাকপুর গ্রামে মৃত আইনুদ্দীন শেখের পুত্র কালাম শেখের বাড়ির ভিতরে কৌঁশলে ঢুকে লক্ষিভান্ডারে গচ্ছিত টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। এর আগে গত ৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ও গভীর রাতে কপিলমুনি বাজার ফকিরবাসা মোড়ে অবস্থিত ৩টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এ সময় চোরেরা তালা ভেঙে দোকানের মালামাল ও কিছু টাকা নিয়ে যায়। এরা বাজারে নৈশপ্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দোকান ঘরের ছাউনি টালি খুলে ভিতরে প্রবেশ করে। কারো বড় ধরনের কোনো ক্ষতি না করলেও মালামাল তছনছ করে প্রত্যেক ঘরের ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা সামান্য কিছু করে টাকা, বিড়ি-সিগারেট নিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে গেছে বলে ভুক্তভোগি দোকানীরা জানান। একইদিনে সন্ধ্যায় পুলিশ ফাঁড়ির সামনে (১০ গজের মধ্যে) সড়কে তুষ কাঠের দোকানের ক্যাশ ড্র’র ভেঙে প্রায় ৪ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় দোকান মালিক হালিম সার্টার টেনে দিয়ে পাশে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিল। স্থানীয় কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনস্পেক্টর জি এম এমদাদুল ইসলাম জানান, আমি ছুটিতে আছি, এখন যিনি চার্জে আছেন তাকে খোঁজ নিতে বলছি। রাতে টহল জোরদার করা হবে।