কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সাবেক কাউন্সিলর অলিউল্লাহ ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে জোড়া শিশু হত্যার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভোক্তঅেগী পরিবার ও এলাকাবাসি। মঙ্গলবার দুপুরে কুলিয়ারচর নোয়াগাও বেপারী পাড়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তভোগী পরিবার শিশু হারা মা ঝুমা বেগম সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী আল আমিন মিয়া একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা।
গত ২৬ জুন ঝালমুড়ি বিক্রির সময় কয়েকজন বখাটে তার দোকানের সামনে মেয়েদেরকে ইভটিজিং করায় তিনি তাতে বাধা দেয়। পরে বখাটেরা ও সাবেক কাউন্সিলর অলিউল্লাহর সমর্থকরা তাকে বেধুম পিটায়।
এ সময় খবর পেয়ে স্বামীকে বাচাতেঁ গর্ভবতী স্ত্রী ঝুমা বেগম এগিয়ে এলে তাকে ও মারধোর করে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানায় মারধোরে তার থলি ফেটে যাওয়ায় অনাগত সন্তানের উপর আঘাত লেগেছে। পরে এ ঘটনায় তিনি কুলিয়ারচর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু মামলা তুলে নিতে বিবাদী পক্ষ হুমকি দিচ্ছে এবং তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
এদিকে দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস চিকিৎসার পর গত ৩ আগস্ট ঝুমা বেগম মৃত জোড়া সন্তান প্রসব করেন। মারধোরের কারণে তার সন্তান ২টি মারা গেছে বলে তিনি সাবেক কাউন্সিলর ও তার সমর্থকদের দায়ী করে কুলিয়ারচর থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে থানা অভিযোগ গ্রহণ করেনি বলে ও তিনি ও তার পরিবার জানান।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির জানান, ঝুমাকে নির্মমভাবে মারধোরের কারণে তার গর্ভের ২টি সন্তান মারা গেছে বলে তিনি চিকিৎসকের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, ঝুমাকে মারধোরের ঘটনায় তৎকালীন সময়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আমরা আসামিদেও গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। তবে মারধোরের কারণে যদি তার মৃত সন্তান প্রসব হয়ে থাকে সেটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ওই মামলায় হত্যা মামলা হিসেবে ধারা সংযুক্ত করা হবে।