কিশোরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র আশুরা’র শোকানুষ্ঠান পালিত হয়েছে। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সদর উপজেলার ঐতিহাসিক বৌলাই পীর সাহেব বাড়ির মাজার ও দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে ১০ দিনব্যাপি পবিত্র কোরআন খতম, মিলাদ, মুর্ছিয়া জারি’র আয়োজন করা হয়। দশই মহররম আশুরা’র শোকানুষ্ঠান পালনের মধ্য দিয়ে এ আয়োজনের সমাপ্তি হয়।
মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) মাজার ও দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে কারবালায় নির্মমভাবে শাহাদাৎ বরণকারী নবী (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (আঃ) ও নবী’র পরিবারের স্মরণে আলোচনা দিনব্যাপী আলোচনা এবং কারাবালা প্রান্তের এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের কাহীনি নিয়ে রচিত মুর্ছিয়া জারী পরিবেশন করে কিশোরগঞ্জ তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী ‘‘শানে পাঞ্জাতন মহররম জারী দল’’।
মুর্ছিয়া জারী শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় “শানে পাঞ্জাতন মহররম জারী দল” এর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আঃ আউয়াল হোসাইনী চিশতী (চাঁন মিয়া)’র ছোটভাই বর্তমান গদীনিশিন পীর সৈয়দ শাহ নূরুল আউয়াল (তারা মিয়া) আখেরি মোনাজাত’র দোয়া পাঠ করেন। প্রায় হাজার খানেক ভক্ত আশেকান মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
মোনাজাত শেষে ঐতিহাসিক বৌলাই পীর সাহেব বাড়ির বর্তমান পীরজাদা সৈয়দ ইয়াছিন বলেন, মহররম মাস শুধু মুমিনের পরিচয় নিয়েই আসে না, এ মহররম মাস চিনিয়ে দেয় কারা হোসাইনি মুসলমান ও কারা এজিদি মুসলমান। কারবালা প্রান্তরের কাহিনি নিয়ে মুর্ছিয়া জারী’র মাতম শত শত বছর ধরে চলে আসতেছে যা বাঙালি মুসলমান তথা এদেশে’র সংস্কৃতির অবিচ্ছ্যদ্য অংশ।
এ সময় ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা দিয়ে সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।