প্রচন্ড- খরার কারণে চলতি বর্ষা মৌসুমেও উপজেলার অধিকাংশ খাল, বিল, ডোবা এবং জলাশয়ে তেমন পানি না থাকায় উপজেলার কৃষকেরা পাট পচানো নিয়ে বিপাকে পড়েন। উপজেলার অধিকাংশ কৃষক কাঙ্খিত বৃষ্টিপাতের আশায় পাট কেটে কেউ বা জমির পাশে, কেউবা রাস্তার পাশে, আবার কেউবা খাল, বিল ও ডোবার পাশে স্তুপ করে রেখে দেন। কিন্তু তারপরও তেমন বৃষ্টিপাতের দেখা মেলেনা। এতে পাট চাষীরা পাট পচানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত কৃষকদের সেই দুশ্চিন্তার অবসান ঘটেছে। উপজেলার কৃষকদের বড় একটা অংশ এলাকার বিভিন্ন মৎস্য প্রকল্পের পানিতে পাট পচাচ্ছেন। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রায় ১‘শ মৎস্য প্রকল্প রয়েছে। ওই সকল মৎস্য প্রকল্পে পর্যাপ্ত পানি রয়েছে। মৎস্য প্রকল্পের আশপাশের শত শত কৃষকেরা মৎস্য প্রকল্পের ওই পানিতে পাট পচাচ্ছেন। তবে মৎস্য প্রকল্পের ওই পানিতে পাট পচানোর কারণে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মৎস্য চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উপজেলার ভায়না গ্রামের মৎস্য চাষী হারেজ প্রামাণিক বলেন লোকসান দিয়ে মাছ বিক্রি করে পাট চাষীদের ভায়না মৎস্য প্রকল্পের পানিতে পাট পচানোর সুযোগ করে দিয়েছি। একই কথা বলেন উপজেলার গুপিনপুর গ্রামের মৎস্য চাষী জোনাব আলী প্রামাণিক। তবে পাট পচানো শেষে ওই সকল প্রকল্পে পুনরায় মাছ চাষ করার অনুকূল পরিবেশ নষ্ট হবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান বলেন মৎস্য প্রকল্পে পাট পচানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। এমনকি কেউ এ বিষয়ে অভিযোগও করে নাই।