সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নিয়ম নিতিমালা ছাড়াই চলছে ফসলী জমিতে যন্ত্র তন্ত্র বসত ঘর নির্মাণ। বর্তমানে এই উপজেলায় ঘর নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। শতকারা ৯০ভাগ কৃষি জমিতে এই পাকা বসত বাড়ী নির্মাণ করা হচ্ছে। এখন প্রতিযোগিতায় নেমেছেন এখানকার মানুষেরা। কোন প্রকার ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌর সভার আইন মানা হচ্ছে না। দেখার যেন কেউ নেই। এ ছাড়া কোন কোন ব্যক্তি ফসলী জমির মধ্যে পুকুর কেটে বালৃু তুলতে দেখা যাচ্ছে। আর এই বালু ট্রলি প্রতি সাড়ে ৩শত টাকা করে বিক্রয় করে দিচ্ছে। এই উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের কোন না কোন স্থানে বালু তুলছে ড্রেজার মেশিন দিয়ে। মনে হচ্ছে এরাই প্রশাসন ও দেশ এরাই চালাচ্ছেন। এতে করে দিন দিন ফসলী জমি ক্রমে কমে যাচ্ছে। কলারোয়ার কৃষি অফিস জানায়-উপজেলায়-২৬২৫ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হচ্ছে। রোপা আমন ধান-১২৭৫৪ হেক্টর, আউশ-১৮৫০ হেক্টর, বোরো-১২৬৮০ হেক্টর, গম-৫৫ হেক্টর, ভুট্টা-৪০ হেক্টর, সরিষা-৫৫০০ হেক্টর, আলু-৫০ হেক্টর, আম-৬২৫ হেক্টর, কুল-৩১৬ হেক্টর, মাল্টা-৩২ হেক্টর, পানি ফল-২৫ হেক্টর, মসুর-৭৫ হেক্টর, পেয়াজ-৯৫ হেক্টর, রসুন-৭৫ হেক্টর, মরিচ-৫০ হেক্টর, সবজি-১৭২০ হেক্টর, আখ-০৫ হেক্টর, পান-৩৪ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে। এ ছাড়া বন বিভাগ বলছেন-উপজেলার আয়তন-২৩১৫ কিলোমিটার, ইউনিয়ন-১২টি, কৃষিব্লক-৩৭টি, ওয়ার্ড-১০৮টি, গ্রাম-১৪৩টি, মৌজা-১১৭টি, বনজ বৃক্ষ-৮৫০ হেক্টর, ঔষধী বৃক্ষ-১০ হেক্টর, অন্যন্যে বৃক্ষ (ফল) সহ-২৫০ হেক্টর রয়েছে। বর্তমানে জরিপ হলে এই জমির পরিমাণ কমে অর্ধেক হয়ে আসবে। এখুনে এই বসত বাড়ী নির্মাণ ঠেকাতে না পারলে একসময় এ উপজেলায় কৃষি জমি থাকবে না। এদিকে উপজেলার সচেতন মহলের দাবী এ উপজেলায় যন্ত্রতন্ত্র ফসলী জমিতে বসত ঘর নির্মাণে প্রশাসনের অনুমতি লাগে তার ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।