দেশের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র জোয়ার ভাটার নদী বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদী থেকে বিগত দেড় মাসে ৬ টি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাছ গুলোর ওজন সাড়ে নয় কেজি থেকে সাড়ে বারো কেজি পর্যন্ত হবে।
উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, ডিম আহরনকারী ও রেনু উৎপাদনকারী এবং হালদা নদী সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, বুধবার হালদা নদীর সংযোগ সোনাই খালের সুইস গেইট সংলগ্ন এলাকায় স্হানীয় লোকজন একটি মৃত কাতলা মাছ ভেসে থাকতে দেখে বিষয়টি আই ডি এফ কর্তৃপক্ষকে জানান। এই সংস্থার কৃষি কর্মকতা নাজমুল হাসান মৃত মাছটি উদ্ধার করেন। তিনি মাছটি শরীরের পছন দেখা দেওয়ায় দায়িত্বশীল প্রশাসনের সাথে কথা মাছটি মাটি চাপা দেন বলে গনমাধকে জানান। মাছটির ওজন ১০ কেজি ৭ গ্রাম হবে বলে ও তিনি উল্লেখ করেন। বিগত ২৬ জুলাই সকালে হালদা নদী থেকে ৯ কেজি ৯ শ গ্রামের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। একই দিন ১২ কেজি ২ শ ৬০ গ্রাম ওজনের ১ টি এবং একই দিন সন্ধ্যার দিকে ১০ কেজি ৭ম ৭২ গ্রাম ও জনের আরো একটি মৃত কাতলা মাছ সত্তারঘাট সংলগ্ন স্হান থেকে উদ্ধার করা হয়। জুন মাসের ১ তারিখ ১২ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ হালদা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া একই মাসের ৩ তারিখ ৭ কেজি ওজনের নদী থেকে আরো একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ভাবে বিগত দেড় মাসের মধ্যে হালদা নদী থেকে বিভিন্ন ওজনের ছয়টি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। সংশ্লিস্টরা ধারনা করছেন উপজেলা প্রশাসন, হালদা নদীতে নৌ পুলিশের প্রতিনিয়ত অভিযানের কারণে হালদা নদী থেকে মাছ শিকারের নতূন কৌশল গ্রহন করেছেন এই চক্রটি নদীতে কীট নাশক প্রয়োগ করে মাছ শিকার শুরু করেছে। নদীর মাছ গুলো কীট নাশক প্রয়োগের সাথে সাথে মারা যায়না। তাছাড়া যেস্হানে কীট নাশক প্রয়োগ করা হয় সেখান থেকে দূরে গিয়ে মাছ গুলো মারা যায়। মাছ মারা যাওয়ার সাথে সাথে মৃত মাছ গুলো পানিতে ডুবে যায় ভেসে উঠে না। কয় দিন পর মৃত মাছের শরীরে পচন ধরলে সেই মাছ নদীতে ভেসে উঠে বলে হালদা নদী সংশ্লিষ্টরা গনমাধ্যমকে জানান।