বাগেরহাটে কর্মরত অবস্থায় বিদ্যুতায়িত হয়ে মোঃ নাদিম হোসেন (২৮) নামের এক রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর এলাকার ব্যবসায়ী দিপঙ্করের ভবনে কাজ করার সময় এই দূর্ঘটনা ঘটে। এ সময় মোঃ কামরুল (৩২) নামের আরেক রাজমিস্ত্রি গুরুত্বর আহত হয়েছেন। বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কামরুলকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নিহত নাদিম হোসেন যাত্রাপুর এলাকার দুলাল শেখের ছেলে। তার স্ত্রী, সাত বছর ও ১৫ মাস বয়সী দুটি মেয়ে রয়েছে।
প্রতক্ষদর্শী কবির হোসেন বলেন, সকাল থেকে নাদিম, কামরুলসহ আমরা চারজন যাত্রাপুর এলাকার দিপঙ্করের ভবনে কাজ করছিলাম। সাড়ে ১১টার দিকে কলাম তৈরির জন্য ফর্মা ওঠাচ্ছিলেন নাদিম হোসেন। এ সময় বিদ্যুতের তারে ফর্মা লেগে নাদিম হোসেন ও কামরুল গুরুত্বর আহত হয়।পরবর্তীতে দুইজনকে দ্রুত বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসি আমরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাদিমকে মৃত ঘোষনা করেন।
হাসপাতালে নাদিমের মরদেহের পাশে বিলাপ করছিলেন, তার স্ত্রী, সাত বছর বয়সী চাঁদনি ও তার স্বজনরা। সংসারের একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে কান্না থামছেনা নাদিমের স্ত্রী রাবেয়া বেগমের। বাবাকে ছাড়া থাকব কিভাবে বলে বিলাপ করছিলেন নাদিমের মেয়ে চাঁদনি।
উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তিকে হারিয়ে বিপদে পড়েছে সংসারটি দাবি করে স্থানীয় রুহুল আমিন শেখ বলেন, নাদিমের আয়ে চলত চারজনের সংসার। দুই সন্তান নিয়ে কিভাবে বাঁচবে নাদিমের স্ত্রী। যার বাড়িতে কাজ করছিলেন তার পক্ষ থেকে এবং সরকারিভাবে নাদিমের পরিবারকে সহযোগিতার দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মোঃ গোলাম রাফি বলেন, দুপুরে বিদ্যুতায়িত অবস্থায় দুইজন রোগীকে নিয়ে আসছিল হাসপাতালে। তার মধ্যে নাদিম নামের একজনকে মৃত অবস্থায় হাসাপাতালে আনা হয়। অন্যজন কামরুলও গুরুত্বর আহত ছিল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।